1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রুশবিদ্ধ ম্যাকডোনাল্ডস!

১৮ জানুয়ারি ২০১৯

ক্রুশবিদ্ধ ম্যাকডোনাল্ডস নিয়ে উত্তাল ইসরায়েলের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়৷ সম্প্রতি হাইফা শহরের একটি চিত্রকলা জাদুঘরে ‘ম্যাকজেসাস’ শিরোনামে একটি ভাস্কর্য প্রদর্শন করা হয়৷ ইতিমধ্যে ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3BkpM
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Balilty

বিক্ষোভকারীরা মনে করেন, এ ধরনের একটি ভাস্কর্যের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে যিশুকে অপমান করা হয়েছে৷ এটিকে তাঁরা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সমান বলেও দাবি করেছেন৷

বিষয়টি ইতোমধ্যে আদালতে গড়িয়েছে৷ সোমবার হাইফা শহরের গির্জা প্রধান এ ধরনের সব স্থাপনা ও ভাস্কর্য, এমনকি বার্বি ডলের মাদার মেরি ভার্সনও সরিয়ে নিতে আদালতের নির্দেশের জন্য আবেদন করেন৷

পুলিশ জানায়, এই ভাস্কর্য সরানোর দাবিতে বিক্ষোভকারীরা মিউজিয়ামটির আশপাশ ঘিরে ইট ও পাথর ছুঁড়ে মারে৷ এতে তিন পুলিশ ঘটনাস্থলে আহত হন৷ বিক্ষোভকারীদের হটাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে৷ পুলিশ ধারণা করছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কেউ এটির ছবি প্রকাশ করার কারণেই বিক্ষোভ দানা বাঁধে৷

জাদুঘরটির পরিচালক নিসিম তাল এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এই ধরনের ভাস্কর্যে এ ধরনের জনরোষ হতে পারে সেটি আমাদের ধারণার বাইরে৷’’ তিনি বলেন, ‘‘ভাস্কর এই স্থাপনার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাদের উপাসনাকে নিন্দা জানিয়েছেন৷ কীভাবে কর্পোরেট সংস্কৃতি আমাদের জীবনকে কুক্ষিগত করছে, সেটিই এখানে দেখানো হয়েছে৷ কোনোরকম অঘটন ছাড়াই এই ভাস্কর্য বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশে প্রদর্শিত হয়েছে৷’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘গত আগস্ট মাস থেকে এই ভাস্কর্যটির প্রদর্শনী চলছে৷ ইতোমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি দর্শক এটি দেখেছেন এবং কোনো অঘটন ঘটেনি৷’’

‘‘আরব দেশগুলোতে খ্রিষ্টানরা সংখ্যালঘু৷ তাঁরা প্রতিদিনই নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন’’ এমন মন্তব্য করেন ইসরায়েলের গির্জা প্রধানদের উপদেষ্টা ওয়াদি আবু নাসার৷ তিনি বলেন, ‘‘বাকস্বাধীনতার মানে অন্যের সত্ত্বাকে আঘাত করা নয়৷’’

এদিকে ইসরায়েলের চরম উদারপন্থি সংস্কৃ্তিমন্ত্রীও এই ভাস্কর্য নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যা অন্য ধর্মের জন্য অসম্মানজনক, তা না থাকাই ভালো৷’’

এফএ/এসিবি (এপি)