1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্রিমিয়া নিয়ে ফ্রান্সে চীনের রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে সমালোচনা

২৩ এপ্রিল ২০২৩

প্যারিসে বেইজিংয়ের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইনে সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলির 'প্রকৃত মর্যাদা' নেই। ইউক্রেনের মতো সাবেক সোভিয়েত দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফ্রান্স।

https://p.dw.com/p/4QSM1
রাষ্ট্রদূত লু শায়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ কি না
রাষ্ট্রদূত লু শায়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ কি নাছবি: Sergei Malgavko/dpa/TASS/picture alliance

একটি ফরাসি টিভিকে সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রদূত লু শায়েকে প্রশ্ন করা হয়েছিল ক্রিমিয়া ইউক্রেনের অংশ কি না। উত্তরে তিনি বলেন, ইতিহাস বলে এটি রাশিয়ার অংশ এবং সাবেক সোভিয়েত নেতা নিকিতা ক্রুশ্চেভ ইউক্রেনকে দিয়ে দিয়েছিলেন।

লু বলেন, "এই সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক আইনে প্রকৃত কোনো মর্যাদা নেই। কারণ তাদের সার্বভৌম মর্যাদা বাস্তবায়িত করার জন্য কোনও আন্তর্জাতিক চুক্তি নেই।"

চীনা রাষ্ট্রদূতের শুক্রবার দেয়া এই বক্তব্য়ের প্রতিক্রিয়া প্যারিস জানিয়েছে রোববার। যেসব মিত্র দেশ সংকটে পড়েছে, তাদের প্রতি ফ্রান্সের 'পূর্ণ সংহতি' রয়েছেবলেও মন্তব্য করেছেন ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র। তিনি বলেন, "দশকের দশকের নিপীড়নের পর" এই রাষ্ট্রগুলো তাদের স্বাধীনতা অর্জন করেছে।

ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, "বিশেষ করে ইউক্রেনের বিষয়ে বললে, ক্রিমিয়া সহই এই দেশকে ১৯৯১ সালে চীনসহ সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দিয়েছিল।"

মুখপাত্র আরো বলেন, চীনকে স্পষ্ট করতে হবে যে এই বক্তব্য তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থানের প্রতিফলন কি না।

এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার বাল্টিক রাজ্যগুলি, যেগুলি পূর্বে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল, ফ্রান্সের মতো একই লাইনে প্রতিক্রিয়া জানায়।

ফ্রান্স ছাড়াও সাবেক সোভিয়েতভুক্ত বেশকয়েকটি দেশ এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাল্টিক রাষ্ট্র এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়া।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের এক জ্যেষ্ঠ সহযোগী মিখাইলো পোডোলিয়াক এক টুইটে লিখেছেন, ''নিজেদের হাজার বছরের ইতিহাস নিয়ে সচেতনএকটি দেশের প্রতিনিধির কাছ থেকে 'ক্রিমিয়ার ইতিহাস' নিয়ে এমন অযৌক্তিক কথা শোনাটা অদ্ভুত।

এ বিষয়ে ফ্রান্সে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার মন্তব্য না পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

আরকেসি/এডিকে (রয়টার্স)