1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যাপিটলের প্রতিক্রিয়া, জার্মান পার্লামেন্টে সুরক্ষা বাড়ছে

৮ জানুয়ারি ২০২১

ক্যাপিটলের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তাঁদের পার্লামেন্টের নিরাপত্তা বাড়াচ্ছে জার্মানি। নাগরিকদের ওয়াশিটংন না যাওয়ার পরামর্শ।

https://p.dw.com/p/3nfCb
জার্মানির পার্লামেন্টের সামনে করোনার কড়াকড়ির বিরুদ্ধে একাধিক বিক্ষোভ হয়েছে। ছবি: picture-alliance/dpa/K. Nietfeld

ক্যাপিটলের ঘটনার প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন দেশে। জার্মানি তাদের পার্লামেন্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখছে। জার্মানির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের প্রেসিডেন্ট  বলেছেন, বুন্দেসটাগের সুরক্ষা কীভাবে বাড়ানো যায় তা দেখা হচ্ছে। ক্যাপিটলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেটাই দেখা হচ্ছে।

ক্যাপিটলের ঘটনা নিয়ে একটি রিপোর্ট পাঠাবার জন্য ওয়াশিংটনের জার্মান দূতাবাসকে বলেছে সরকার। তারপর পার্লামেন্টে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। বার্লিনেও সুরক্ষা বাড়ানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ক্যাপিটলের ঘটনার পরই ট্র্যাভেল অ্যাডভাইসারি জারি করেছে জার্মানির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। জার্মানদের সেন্ট্রাল ওয়াশিংটন এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। অ্যাডভাইসারিতে বলা হয়েছে, আরো বিক্ষোভ ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। যে কোনো সময়ে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা হস্তান্তরের আগে জার্মানরা যেন সেন্ট্রাল ওয়াশিংটনে না যান।

চ্যান্সেলার ম্যার্কেলও ক্যাপিটলের ঘটনায় 'ক্রুদ্ধ ও দুঃখিত'। তিনি বলেছেন, ''মার্কিন কংগ্রেসে যেভাবে বিক্ষোভকারীদের ঢুকে যাওয়ার ছবি দেখেছি, তাতে আমি ক্রুদ্ধ ও দুঃখিত। ট্রাম্পও এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। কারণ, তিনি হার স্বীকার করছেন না।'' ম্যার্কেলের মতে, ''গণতন্ত্রের গ্রাউন্ড রুল হলো নির্বাচনে জয়ী ও পরাজিত পক্ষ থাকবে। প্রত্যেককে নিজের দায়িত্ব পালন করতে হবে, যাতে গণতন্ত্র বিজয়ী হয়। গত নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হার স্বীকার না করার কথা বলে যাচ্ছেন। গতকালও বলেছেন। ফলে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে এবং এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, যার ফলে গতকালের ঘটনা সম্ভব হয়েছে।''

ম্যার্কেলের প্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে যথেষ্ট কড়া। এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ট্রাম্পের মতবিরোধ সামনে এসেছে। কিন্তু ক্যাপিটলের ঘটনার পর ম্যার্কেল যে কতটা ক্ষুব্ধ তা তাঁর বিবৃতিই বুঝিয়ে দিচ্ছে।

তবে শুধু ম্যার্কেল নন, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার বলেছেন, ''সমানে মিথ্যা ও আরো মিথ্যা কথা বলার জন্য ক্যাপিটলের এই ছবি দেখতে হলো। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে ঘৃণা ও উত্তেজনা ছড়ানোর ফলে এরকম ঘটনা ঘটল। এটা উদার গণতন্ত্রের উপর আঘাত।'' জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস জানিয়েছেন, ''ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকরা এবার মানুষের রায় মেনে নিন এবং গণতন্ত্রের উপর আঘাত করা বন্ধ করুন।'' ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য মাইকেল লিঙ্ক ডিডাব্লিউকে বলেছেন, ''ক্যাপটিলে যা হয়েছে তা গণতন্ত্রের কাছে বিপদসংকেত। তবে জার্মানি যেন অন্যের দিকে আঙুল না তোলে। লকডাউনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সময় অনেকটা একই ধরনের দৃশ্য জার্মানিতেও দেখা গেছে।''

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)