1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে চাই সচেতনতা

১৮ ডিসেম্বর ২০১৮

খাদ্যের উপর আমাদের স্বাস্থ্য অনেকটাই নির্ভর করে৷ খাদ্য বাছাই, খাদ্যের পরিমাণ ও অনুপাত, রান্নার পদ্ধতিসহ আরো অনেক বিষয় এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ৷ ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে এমন সচেতনতা খুব জরুরি৷

https://p.dw.com/p/3AHkO
Portion Pommes frites mit Ketchup
ছবি: picture-alliance/dpa/G.Breloer

অনেকে প্রায় প্রতিদিনই মাংস খান৷ তবে পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস খাবার পরামর্শ দেন৷ এর চেয়ে বেশি মাংস খেলে ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ বিশেষ করে বেশি পরিমাণ আয়রনের কারণে ‘রেড মিট' নিয়ে তাঁদের মনে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷

সাম্প্রতিক গবেষণায় আয়রন-তত্ত্বের পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া না গেলেও বেশি মাংস ঝুঁকির কারণ থেকে যাচ্ছে৷ পুষ্টিবিজ্ঞানী উলরিকে গোন্ডার বলেন, ‘‘মাংস খাবার ক্ষেত্রে আসল সমস্যা হলো রান্নার পদ্ধতি৷ আমরা যদি কড়া করে মাংস ভাজি, বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত রান্না করি, কয়লার চুলায় সেঁকি, তখন মাংস ক্যানসারের সহায়ক পদার্থ নিঃসরণ করে৷ যেমন, পলিঅ্যারোম্যাটিক হাইড্রোকার্বন৷ বার্বিকিউ করার সময় এমনটা দেখা যায়৷ তাই মাংসের ফ্যাট জ্বলন্ত কয়লার উপর না পড়লেই ভালো৷ এছাড়া মাংস বাদামী করে রান্না করলে হেটেরোসাইক্লিক অ্যামাইনের আবির্ভাব ঘটে৷ অর্থাৎ, মাংস খাবার সময় ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে হলে পরিমাণ কম রাখার পাশাপাশি মাংস পুড়িয়ে ফেললে চলবে না৷ সেই অংশ ফেলে দিতে হবে, বেশি কড়া করে রান্না করলে চলবে না৷''

মাংসপ্রেমীদের জন্য উলরিকে গোন্ডারের এক ভালো পরামর্শ রয়েছে৷উলরিকে বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে সঙ্গে কী খাওয়া হচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ৷ প্লেটে ‘ব্যাড গাই' থাকবেই৷ সঙ্গে স্যালাড, লতাগুল্ম, ফাইবার খেয়ে ভারসাম্য এনে ক্যানসার সুরক্ষা সম্ভব৷''

তবে ‘ব্যাড গাই' চেনা সহজ নয়৷ উলরিকে গোন্ডার বলেন, ‘‘অ্যাক্রিলামাইড ক্যানসারের অন্যতম কারণ হতে পারে৷ যখনই স্টার্চ বা মাড় দেওয়া খাদ্য গরম করা হয়, তখনই এই পদার্থ সৃষ্টি হয়৷ যেমন, মচমচে ও বেক করা খাবার, কফি ইত্যাদি৷ এ ক্ষেত্রে প্রস্তুতকারকদের উৎপাদনের সময় স্টার্চের পরিমাণ কমানো উচিত৷ অ্যাক্রিলামাইড কমাতে বাসায়ও অনেক কিছু করা যেতে পারে৷ যেমন, কড়া করে ভাজা বা বেকিং না করাই উচিত৷''

মাছের ক্ষেত্রে উলরিকে গোন্ডার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের খোঁজ করেন৷ উলরিকে বলেন, ‘‘রোগ প্রতিরোধ করতে সামান্য পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড খেলেই চলে৷ সপ্তাহে দু-একবার মাছ খেলেই সাপ্তাহিক চাহিদা পূরণ হয়ে যায়৷ এই ফ্যাটি অ্যাসিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করে৷ সেটা খুব ভালো, কারণ, ক্যানসারসহ অনেক রোগের ভিত্তিই হলো প্রদাহ বা সংক্রমণ৷''

মোটকথা, অনেক কিছু আমাদের হাতেই রয়েছে৷ যত বেশি ‘গুড গাই' ও যত কম ‘ব্যাড গাই' আমরা খাবো, ক্যানসারের ঝুঁকিও তত কমবে৷ সব কিছু ত্যাগ করার কোনো প্রয়োজন নেই৷ স্বাস্থ্যসচেতন হয়ে সঠিক মিশ্রণের দিকে নজর দিলেই চলবে৷

মোনিকা কোভাকসিক/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য