1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যালজি থেকে ওষুধ

৩ মে ২০১৩

পাকস্থলীর ক্যানসারের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে অ্যালজি বা সামুদ্রিক উদ্ভিদ৷ জার্মান গবেষকদের এই উদ্যোগ সফল হলে ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অ্যালজি থেকে ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে৷

https://p.dw.com/p/18QFw
ছবি: Frank Hajasch

সহজেই মেলে অ্যালজি

ক্যানসারের মোকাবিলা করতে জার্মানির বাল্টিক সাগর উপকূলে দুই গবেষক অ্যালজি বা সামুদ্রিক উদ্ভিদ সংগ্রহ করছেন৷ তাঁদেরই একজন ড. লেভেন্ট পিকার বললেন, ‘‘প্রাকৃতিক উপাদান খুঁজতে সব সময় সমুদ্রের গভীরে ৬,০০০ মিটার নীচে ঢুঁ মারার দরকার নেই৷ এই উপকূলের কাছেই তা পাওয়া যায়৷ এগুলি কোনো বিশেষ ধরণের অ্যালজি নয়৷ বাল্টিক সাগর উপকূলেই এগুলি দেখা যায়৷ এখানেই খোঁজাখুঁজি করে সেগুলি সংগ্রহ করে তারপর ল্যাবে নিয়ে যাই৷ ক্যান্সারের মোকাবিলায় কী কী কাজে লাগে, তা সেখানে খোঁজা হয়৷''

Mit Algen gegen Krebs
‘৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অ্যালজি থেকে ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে’ছবি: Frank Hajasch

পাকস্থলীর ক্যান্সারের চিকিৎসা

প্যানক্রিয়াটিক বা পাকস্থলীর ক্যানসারের এখনো কোনো চিকিৎসা নেই৷ অ্যালজি এগেইনস্ট ক্যান্সার বা এএসি নামের এক সহযোগিতা প্রকল্পের মাধ্যমে রোগীদের জন্য আশার আলো এনে দেবার চেষ্টা চলছে৷ সমুদ্রে হাজার হাজার জাতের অ্যালজি আছে৷ চারিদিকের পরিবেশই তাদের বিশেষত্ব স্থির করে৷ ড.পিকার আরও বললেন,‘‘সমুদ্রের নীচের জীবের মধ্যে আরও শক্তিশালী গুণাগুণ পাওয়া যায়, কারণ তাদের সরাসরি শিকারি বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়৷ ডাঙার উপরের জীবদের সুবিধা হলো, বাতাস অনেকটা বর্মের কাজ করে৷''

এই বায়োটেকনোলজিস্টকে সব অ্যালজি আলাদা করে ধুতে হয়৷ এই কাজের জন্য বেশ সময় ও পরিশ্রম চাই৷ তাঁর সহকর্মী মারিয়ন সেন্টহোফার বলেন, তাঁরা শুধু সেই সব উপাদান আলাদা করতে চান, যা এখনো পচে যায় নি৷ বাছাই করা অ্যালজিও বিভিন্ন ফিলটারের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়৷ প্রত্যেকটি উপাদানের জন্য চাই আলাদা ফিল্টার৷

ড.পিকার আরও বললেন, চেষ্টা চালিয়ে ভুল হলে তা শুধরে নেওয়া হয়৷ উপাদানগুলিকে এতটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে আলাদা করে পরীক্ষা করে দেখা হয়, যাতে তাদের নির্দিষ্ট প্রভাব স্পষ্ট হয়ে যায়৷ ফলে শেষ পর্যন্ত সামান্য কিছু উপাদান চিহ্নিত করা যায়, যেগুলিকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা সম্ভব৷ এর পরের পর্যায়ে পরীক্ষা করে দেখতে হয়, তাদের কতটা কার্যকারিতা রয়েছে৷

পরীক্ষার জটিল প্রক্রিয়া

কিল শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারের কোষ তৈরি করা হয়৷ তারপর তার মোকাবিলা করতে অ্যালজি থেকে বের করা উপাদান প্রয়োগ করা হয়৷ একদিন পরীক্ষামূলক এই ওষুধ সত্যি সবার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে, এমনটাই আশা করা হচ্ছে৷

সবুজ ও জীবন্ত সব কোষগুলি লাল হয়ে যায়, তারপর মরে যায়৷ যে সব কোষগুলির মোকাবিলা করতে অ্যালজির উপাদান ব্যবহার করা হয়, গবেষক সেগুলি নীল রং করে দেন৷ এই তরল গোলাপি হয়ে গেলে বুঝতে হবে, ক্যানসারের কোষ মরে গেছে৷ রং দেখেই প্রভাব বোঝা যায়৷

গবেষকদের ধারণা, ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে অ্যালজি থেকে ওষুধ তৈরি করা সম্ভব হবে৷

এসবি/ডিজি