1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রেমপত্র দিতে গিয়ে ধরা খেলেন জার্মান নাগরিক

২ জানুয়ারি ২০২০

কোরিয়ার কে-পপ গার্ল, ‘টোয়াইস' ব্যান্ডের  তারকা  নায়নকে ‘প্রেমপত্র' দিতে গিয়েছিলেন এক জার্মান নাগরিক৷ বিষয়টি সামলাতে শেষ পর্যন্ত পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে৷ 

https://p.dw.com/p/3Vb7h
Südkorea Nayeon
ছবি: picture-alliance/AP Images/AP Photo/L. Jin-man

বুধবার ঘটেছে এই ঘটনা৷ টোয়াইসের ম্যানেজাররা জানিয়েছেন যে তারা পুরো বিষয়টি নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবেন৷ কে-পপ সংক্রান্ত ইংরেজি ব্লগ ‘অলকেপপ' জানিয়েছে এই ঘটনা৷

এজেন্সিটি বলছে, দলটি জাপান থেকে দক্ষিণ কোরিয়া যাচ্ছে বলে খবর পান সন্দেহভাজন ব্যক্তি৷ তিনি নিজেও টিকিট কাটেন৷ এরপর বিমানে উঠে কখনো গলার আওয়াজ চড়িয়ে আবার কখনো তাঁর নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে নায়নের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন৷

কোরিয়া টাইমস জানিয়েছে, টোয়াইসের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে বিমানের ভেতরের একটি ছবিসহ ঘটনাটি প্রকাশ করার পর ফ্যানরা বিষয়টি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন৷

‘‘দয়া করে বাড়ি ফিরে যান৷ থামুন৷ অনুরোধ করছি,'' পোস্টটিতে লেখা হয়েছিল বলে জানায় পত্রিকাটি৷ পরে অবশ্য পোস্টটি মুছে ফেলা হয়৷

দলটির ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি জেওয়াইপি এন্টারটেইনমেন্ট জানিয়েছে, কেমন করে তাদের বিমানের তথ্য প্রকাশ পেয়েছে এবং সেই টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়েছে তা খুঁজে দেখতে চায় তারা৷

উত্যক্তকারী সেই ব্যক্তিকে জার্মান নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পত্রপত্রিকায়৷ তার টুইটার ও ইউটিউব ঘেটে দেখা গেছে যে তিনি অনেক দিন ধরে সেখানে কে-পপ তারকা নায়নের সঙ্গে দেখা হবার বাসনা জানাচ্ছিলেন৷

ঘটনার পর তিনি দাবি করেন, তিনি নায়নকে ‘প্রেমপত্র' দিতে যাচ্ছিলেন এবং দলটির ম্যানেজাররা এ সময় তার গায়ে হাত দিয়েছেন৷

টুইটারে তিনি লেখেন, ‘‘ম্যানেজাররা কোনো কারণ ছাড়াই বিমানের ভেতর আমার ওপর আক্রমণ করেন৷ আমি শান্তভাবে নায়নকে আমার প্রেমপত্র দিতে গিয়েছিলাম৷ তখন দুইজন ম্যানেজার ঝাপিয়ে পড়েন৷ এগুলোর মানে কী?''

আরেকটি টুইটে তিনি দাবি করেন, তিনি ঐ দলটিকে কোনোভাবে উত্যক্ত করতে চাননি৷ শুধু নায়নের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়েছিলেন৷

নায়নের ফ্যানরা সেখানে কমেন্ট করে বলেন, ‘‘তিনি ভয় পেয়েছেন৷ আপনি থামুন৷'' নায়নকে আর না জ্বালানোর অনুরোধ করেন তারা৷

রেবেকা স্টাউডমায়ার/জেডএ