‘কোচ সায়মন ড্রিং নিরন্তর আমার সঙ্গে থাকবেন’
২০ জুলাই ২০২১আমরা এক রঙের শার্ট পরতাম একুশেতে। সবে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছি। লিকলিকে গড়ন৷ রেডিমেড শার্ট কিনলে আমার গলার মাপে পাওয়া যায় না৷
সায়মন এসে আমার গলায় ঝুলে পড়তো বলা যায়, আমাকে তাগাদা দিতেন ঠিক মাপের শার্ট বানাতে৷ সেই থেকে শার্ট নিজের মতো করে তৈরি করে পরতে শেখা৷ সায়মনের সঙ্গে খুব একটা কথা হতো না। তাকে ঘিরে থাকতেন নিউজ রুমের কতিপয়৷
তাই আমার এবং আমাদের কয়েকজনের কাজ নিয়ে বছর দেড়েক তাঁর খুব ‘প্রীতিকর’ মন্তব্য পাইনি৷ কিন্তু ২০০১-এ এসে তিনি বুঝতে পারেন, আসলে খবর কুড়িয়ে কারা আনেন আর কারা তাঁর প্রশ্রয়ে টিকে থাকতে চান স্ক্রিনে৷ দ্রুতই সায়মন আমাদের দিকে মনোযোগ দেন, টিপস দিতেন নিয়মিত৷
আমার সঙ্গে একবার তর্ক হয়েছিল৷ ভিকারুননেছা নুন স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এক আন্দোলনে৷ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে- এমন ছবি তিনি ব্যবহার করতে দেবেন না৷ বললাম, আন্দোলন ওদের, ছবিতে তো ওদের স্লোগান দেখাতে হবেই৷ কিন্তু সায়মন রাজি নন। আমি ওর যুক্তি জানতে চাইলাম৷ ও বলল, ‘‘আমি তোমার এমডি৷’’
সায়মন আমাদের শিখিয়েছেন খবরের সঙ্গে কিভাবে সার্বক্ষণিক থাকতে হয়৷ শহরকেন্দ্রিক খবর নয়, দর্শক টানতে হলে গ্রাম-গঞ্জের খবরের কাছে যেতে হবে- এই মন্ত্র সায়মনের কাছ থেকে শেখা৷
একুশে টেলিভিশন যেমন বন্ধ করা হয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়, একইভাবে তাঁকে দ্রুত বাংলাদেশ-ছাড়া করা হয়৷ গণমাধ্যম, বিশেষ করে দৃশ্যমাধ্যমে যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, থাকবো সেখানে৷ কোচ সায়মন ড্রিং নিরন্তর আমার সঙ্গে থাকবেন৷