1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কোচ সায়মন ড্রিং নিরন্তর আমার সঙ্গে থাকবেন’

তুষার আবদুল্লাহ
২০ জুলাই ২০২১

সায়মনের কাছে আমি গিয়েছিলাম, নাকি সায়মন আমার কাছে এসেছিল? ওঁর সঙ্গে এক রকম লুকোচুরির সম্পর্কও ছিল৷ সম্পর্কটা  টক-ঝাল-মিষ্টির৷

https://p.dw.com/p/3wrSo
UK | Simon Dring
সায়মন ড্রিং, ১৯৯৫ সাল৷ছবি: Photoshot/dpa/Picture-Alliance

আমরা এক রঙের শার্ট পরতাম একুশেতে। সবে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছি। লিকলিকে গড়ন৷ রেডিমেড শার্ট কিনলে আমার গলার মাপে পাওয়া যায় না৷

সায়মন এসে আমার গলায় ঝুলে পড়তো বলা যায়, আমাকে তাগাদা দিতেন ঠিক মাপের শার্ট বানাতে৷ সেই থেকে শার্ট নিজের মতো করে তৈরি করে পরতে শেখা৷ সায়মনের সঙ্গে খুব একটা কথা হতো না। তাকে ঘিরে থাকতেন  নিউজ রুমের কতিপয়৷

তাই আমার এবং আমাদের কয়েকজনের কাজ নিয়ে বছর দেড়েক তাঁর খুব ‘প্রীতিকর’ মন্তব্য পাইনি৷ কিন্তু ২০০১-এ এসে তিনি বুঝতে পারেন, আসলে খবর কুড়িয়ে কারা আনেন আর কারা তাঁর প্রশ্রয়ে টিকে থাকতে চান স্ক্রিনে৷ দ্রুতই সায়মন আমাদের দিকে মনোযোগ দেন, টিপস দিতেন নিয়মিত৷

Tushar Abdullah, Bangladeshi journalist
তুষার আবদুল্লাহ, সাংবাদিকছবি: Tushar Abdullah

আমার সঙ্গে একবার তর্ক হয়েছিল৷ ভিকারুননেছা নুন স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এক আন্দোলনে৷ শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে- এমন ছবি তিনি ব্যবহার করতে দেবেন না৷ বললাম, আন্দোলন ওদের, ছবিতে তো ওদের স্লোগান দেখাতে হবেই৷ কিন্তু সায়মন রাজি নন। আমি ওর  যুক্তি জানতে চাইলাম৷ ও বলল, ‘‘আমি তোমার এমডি৷’’

সায়মন আমাদের শিখিয়েছেন খবরের সঙ্গে কিভাবে সার্বক্ষণিক থাকতে হয়৷ শহরকেন্দ্রিক খবর নয়, দর্শক টানতে হলে গ্রাম-গঞ্জের খবরের কাছে যেতে হবে- এই মন্ত্র সায়মনের কাছ থেকে শেখা৷

একুশে টেলিভিশন যেমন বন্ধ করা হয়েছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়, একইভাবে তাঁকে দ্রুত বাংলাদেশ-ছাড়া করা হয়৷ গণমাধ্যম, বিশেষ করে দৃশ্যমাধ্যমে যেখানে দাঁড়িয়ে আছি, থাকবো সেখানে৷ কোচ সায়মন ড্রিং নিরন্তর আমার সঙ্গে থাকবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান