1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কোলনে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর প্রতিবাদ

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলে বারো হাজারের বেশি মানুষ বর্ণবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন৷ দেশটির পূর্বাঞ্চলে উগ্র ডানপন্থিদের সমাবেশের দুই সপ্তাহ পরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে শরণার্থীসহ নানা বিষয় উঠে এসেছে৷

https://p.dw.com/p/34zwk
Deutschland Protest "Köln zeigt Haltung" | Solidarität mit Gleflüchteten
ছবি: Reuters/W. Rattay

জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া ইরাকি এবং আফগান শরণার্থীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো বন্ধের দাবিতে কোলন, ডর্টমুন্ড এবং গেলসেনকিয়রশেন শহরে রবিবার বারো হাজারের মতো মানুষ রাজপথে বিক্ষোভ করেছেন৷ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান হওয়া ওই দুই দেশের মানুষদের ফেরত পাঠানোর বিরোধিতা করা অ্যাক্টিভিস্টরা মনে করেন, দেশ দু'টিতে বসবাস এখনো বিপজ্জনক৷ তাই, ইরাক এবং আফগানিস্তানের মতো বিপজ্জনক দেশে শরণার্থীদের যাতে ফেরত পাঠানো না হয় সেই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷

‘কোলন টেইকস এ স্টান্ড!' শীর্ষক প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোলনের রক্ষণশীল মেয়র হেনরিয়েটে রিকার, যাঁকে ছুরিকাহত করেছিল অভিবাসীবিরোধী এক উগ্রপন্থি৷ রবিবারের কর্মসূচি থেকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো বন্ধের দাবির পাশাপাশি জার্মানির কেমনিৎস শহরে সম্প্রতি উগ্র ডানপন্থিদের সহিংসতারপ্রতিবাদও জানানো হয়েছে৷ বর্ণবাদ এবং বিদেশি-ভীতির কোনো স্থান জার্মানিতে নেই বলেও স্লোগান দিয়েছেন প্রতিবাদকারীরা৷

কোলনে প্রতিবাদকারীদের হাতে ‘সমুদ্র থেকে মানুষ উদ্ধার আমাদের দায়িত্ব' এবং ‘জাতীয়তাবাদ একটি ভুল' শীর্ষক প্ল্যাকার্ডও দেখা গেছে৷

Deutschland Protest "Köln zeigt Haltung" | Solidarität mit Gleflüchteten
ছবি: Reuters/W. Rattay

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের মতো সংঘাতপ্রবণ একটি দেশকে ‘নিরাপদ' ঘোষণা করে জার্মানিতেই তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছে ম্যার্কেল সরকার৷ সম্প্রতি জার্মানি থেকে জোর করে ফেরত পাঠানো এক আফগান কাবুলে পৌঁছানোর পর আত্মহত্যা করায় বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়৷ এমনকি নিজের ৬৯তম জন্মদিনে ৬৯জন শরণার্থীকে নিজ দেশ ফেরত পাঠানো নিয়ে এক কৌতুক করেও সমালোচিত হন জার্মানির রক্ষণশীল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার৷

শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো ঠেকাতে মাঝেমাঝে বিভিন্ন বিমানবন্দরেও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন জার্মানরা৷ তাঁদের সেসব কর্মসূচিতে কিছুটা কাজও হয়৷ কখনো কখনো পাইলটরা শরণার্থীদের বিমানে তুলতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁদের ফেরত পাঠানো স্থগিত থাকে৷

উল্লেখ্য, কোলনে সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরির আশঙ্কা করা হলেও বাস্তবে তেমনটা হয়নি৷ বরং অনেকটা উৎসবে পরিণত হয় সমাবেশটি৷

এআই/এসিবি (এএফপি, ডিপিএ)