কোরবানিতে, নাকি প্রতিমা বিসর্জনে বেশি ক্ষতি? | পাঠক ভাবনা | DW | 03.10.2014
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

কোরবানিতে, নাকি প্রতিমা বিসর্জনে বেশি ক্ষতি?

বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের ছবি নিয়ে ছবিঘর৷ তাতে এক পাঠক খুশি হয়ে দিয়েছেন ধন্যবাদ, অন্যজন তুলেছেন, ‘প্রতিমা বিসর্জন আর পশু কোরবানির মধ্যে কোনটিতে ক্ষতি বেশি’ – এই প্রশ্ন৷

‘অভিবাসীদের সন্তান বার্লিনের মেয়র পদপ্রার্থী' – এই খবরটি পড়ে ফেসবুকে সুহৃৎ ব্যানার্জি লিখেছেন, ‘‘জার্মানি ইতিহাস তৈরি করুক৷ অভিবাসী, রিফিউজি পৃথিবী থেকে মুছে যাক৷ কাজ, অর্থাৎ জীবিকা অবলম্বনের জন্য যে যেখানে থাকবে সেখানকার নীতি মেনে শাসনভার গ্রহণ করবে, নচেৎ আমাদের দেশের মতো বিদেশে জন্ম হওয়ার জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন না৷ মানবিকতা কী বলে?''

সুহৃদ ভারতের নাগরিক হিসেবে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর দিকে ইঙ্গিত করেছেন৷ এ প্রসঙ্গে তাঁকে বলা যায়, মানবিক দৃষ্টিতে জন্ম, বর্ণ, গোত্র বা ধর্ম পরিচয় অবশ্যই গৌণ, তবে অনেক দেশেই তা প্রতিফলিত হয়না৷

বিসর্জন নিয়ে ছবিঘরটি অনেকে পছন্দ করেছেন৷ ফেসবুকে মন্তব্যের ঘরে একজন বিরূপ মনোভাবও প্রকাশ করেছেন৷ এখানে অন্য দুই পাঠকের মন্তব্য তুলে ধরা যাক৷ মলয় কুমার লিখেছেন, ‘‘আজ বিজয়া দশমী – মানে দুর্গা পূজার শেষ দিন৷ মা-কে বিদায় দিতে খুবই কষ্ট হচ্ছে৷ মা সারাটা জীবন থাকুক না আমাদের সাথে!! জানিনা, মায়ের বিদায় বেলায় আপনাদের কেমন লাগছে, কেমন অনুভূতি হচ্ছে৷ কিন্তু আমার ভীষণ ভীষণ খারাপ লাগছে! কিছুই করার নাই, মা-কে তো বিদায় দিতেই হবে৷ বিদায় বেলায় মায়ের কাছে আমার একটা আশীর্বাদই প্রার্থনা, তিনি যেন দশহস্তে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করেন৷''

জাভেদ আহমেদ, মলয় কুমারের এ অনুভূতি নিয়ে কথা বলেননি৷ তিনি অন্য এক ‘হিন্দু ভাই'-এর সঙ্গে কোরবানি আর বিসর্জন নিয়ে কথা হয়েছে দাবি করে লিখেছেন, ‘‘গতকাল আমাকে এক হিন্দু ভাই প্রশ্ন করেছিলেন, আপনারা প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পশু কোরবানি দিয়ে দেশের সম্পদ নষ্ট করছেন কেন? আমি তাঁর কথায় যুক্তি খুঁজে পেলাম৷ তাঁকে বললাম, আমরা সৃষ্টিকর্তার নামে কোরবানি দেই৷ কিন্তু কোরবানির পশুর মাংস আমরা সমাজের গরীব-দুখী এক সাথে মিলেমিশে খাই, আবার পশুর চামড়া বিক্রি করে গরfব প্রতিবেশীর মাঝে বিলিয়ে দেই,সরকার এই পশুর চামড়া বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে,যা দেশের উন্নয়নে ব্যয় করা হয়৷ কিন্তু আপনারা অনেক কষ্টে টাকা আয় করেন, আবার সেই কষ্টের টাকা দিয়ে এক একটি প্রতিমা তৈরি করেন, আবার এই লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতিমাকে নদীতে ভাসিয়ে দেন কেন?তারপরে তার কাছে জানতে চাইলাম, এখন বলুনতো কারা দেশের সম্পদ নষ্ট করছে?' এর জবাবে সেই ‘হিন্দু বন্ধু' কী বলেছেন তা জাভেদ আহমেদ জানাননি৷ ইফতেখারুল আলম আকাশ মনে করেন, ‘‘নদীর পানি অপবিত্র করা ছাড়া আর কিছু নয়৷''

ডয়চে ভেলে বাংলা বিভাগ

নির্বাচিত প্রতিবেদন