কোন দেশের মানুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন?
পিউ রিসার্চের এক গবেষণা বলছে, সারা বিশ্বে পাঁচশ’ কোটিরও বেশি মানুষ মোবাইলফোন ব্যবহার করে৷ তবে স্মার্টফোনধারীর সংখ্যা সব দেশে সমান নয়৷ ছবিঘরে দেখুন বিশ্বের কোন দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি স্মার্টফোন রয়েছে৷
দক্ষিণ কোরিয়া
উন্নত দেশগুলোর মধ্যে এশিয়ার দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে বেশি লোকের কাছে স্মার্ট ফোন রয়েছে৷ পিউ রিসার্চের গবেষণা বলছে, দেশটির শতকরা ৯৫ ভাগ লোকের কাছে রয়েছে এ প্রযুক্তি৷
ইসরায়েল
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইসরায়েল৷ দেশটিতে ৮৮ ভাগ লোকের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে, জানাচ্ছে গবেষণাটি৷ ইসরায়েলের শতকরা ১০ ভাগ লোকের কাছে রয়েছে সাধারণ মোবাইল ফোন আর শতকরা দুই ভাগ লোকের কোনো মোবাইল ফোন নেই৷
নেদারল্যান্ডস
দেশটির শতকরা ৮৭ ভাগ লোকের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে আর শতকরা ১১ ভাগ লোকের হাতে রয়েছে সাধারণ মানের ফোন৷ গবেষণাটি বলছে, নেদারল্যান্ডসের শতকরা দুই ভাগ লোকের হাতে কোনো ধরনের মোবাইল ফোন নেই৷
জার্মানি
তালিকায় অষ্টম স্থানে রয়েছে জার্মানি৷ পিউ রিসার্চের গবেষণাটি বলছে, জার্মানিতে শতকরা ৭৮ ভাগ লোকের কাছে স্মার্টফোন রয়েছে৷ দেশটির শতকরা ৬ ভাগ লোকের কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই৷
দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল
এদিকে উদয়ীমান অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্মার্ট ফোন রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের লোকেদের কাছে৷ পিউ রিসার্চ বলছে, দেশ দুটিতে শতকরা ৬০ ভাগ লোকের হাতে স্মার্টফোন রয়েছে৷ এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় শতকরা ছয় ভাগ লোকের কাছে কোনো মোবাইল ফোন নেই৷ এ সংখ্যা ব্রাজিলে শতকরা ১৭ ভাগ৷
ফিলিপাইন্স
দেশটির শতকরা ৫৫ ভাগ লোক স্মার্টফোন ব্যবহার করে বলে জানাচ্ছে পিউ রিসার্চ৷ গবেষণাটি আরো বলছে, ফিলিপাইন্সের শতকরা ২৩ ভাগ লোকের কাছে মোবাইল ফোন নেই৷
এত পার্থক্য!
গবেষণাটি বলছে, উন্নত দেশগুলোতে স্মার্ট ফোনের মালিকানার গড় সংখ্যা শতকরা ৭৬ ভাগ৷ আর উদয়ীমান অর্থনীতির দেশগুলোতে এ সংখ্যা শতকরা ৪৫ ভাগ৷
নারী-পুরুষ প্রায় সমান
স্মার্টফোন মালিকানার ক্ষেত্রে পুরুষের তুলনায় নারীরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই৷ পিউ রিসার্চ বলছে, স্মার্টফোনের মালিকানার দিক থেকে বিশ্বব্যাপী নারী-পুরুষের গড় ব্যবধান শতকরা চার থেকে পাঁচ ভাগ৷ শুধুমাত্র ভারতে কিছুটা ব্যাতিক্রম৷ দেশটিতে নারী-পুরুষের স্মার্টফোনের মালিকানার পার্থক্য শতকরা ১৯ ভাগ৷
গবেষণা পদ্ধতি
১৮ টি উন্নত দেশ ও নয়টি উদয়ীমান অর্থনীতির দেশকে গবেষণার আওতায় আনা হয়৷ গত বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে করা এ গবেষণাটি ৩০,১৩৩ জনের উপর পরিচালিত হয় বলে সংস্থাটি জানায়৷