1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেরালায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা

৭ আগস্ট ২০২০

দুবাই থেকে উড়ে কেরালার কোঝিকোড়ে নামছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমান। রানওয়ে থেকে তা পিছলে যায়। বিমানবন্দরের পাঁচিল ভেঙে ৩০ ফুট নিচে পড়ে দুই টুকরো হয়ে যায়। সবশেষ খবর, পাইলটসহ ১৭ জন মারা গেছেন।

https://p.dw.com/p/3gdOm
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Mainka

সকাল থেকেই প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল কেরালায়। আবহাওয়া খুব থারাপ ছিল। এর মধ্যেই দুবাই থেকে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে রাতে কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নামতে যায় এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি। বিমানে ১৯১ জন যাত্রী ও বিমানকর্মী ছিলেন। বৃষ্টির মধ্যে বিমানটি নামতে যায়। দৃশ্যমানতাও তখন ভালো ছিল না।

দ্বিতীয় চেষ্টায় রানওয়েতে নামার পরই বিমানটি পিছলে যায়। ধাক্কা মারে বিমানবন্দরের পাঁচিলে। কোঝিকোড়ের বিমানবন্দরকে বলা হয় টেবিল টপ বিমানবন্দর। কারণ, বিমানবন্দরের পাঁচিলের পরেই ৩০ ফুট নীচে উপত্যকা। সেখানেই পড়ে যায় বিমানটি। দুই টুকরো হয়ে যায়।

বিমানের পাইলট ও সহকারি পাইলটের মৃত্যু হয়েছে। মারা গেছেন দুই বিমানকর্মী। সবশেষ খবর অনুযায়ী অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিমানের সামনের দিকে যাঁরা বসেছিলেন, তাঁরা গুরুতর আহত হয়েছেন। সব যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৪৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।  বিমানের পিছনের দিকে যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের  আঘাত বেশিরভাগের আঘাত গুরুতর নয়। বিমানের এক যাত্রীর আত্মীয় আব্দুর রহমান ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে বলেছেন, তাঁর ভাই, ভাইয়ের স্ত্রী ও বাচ্চা হাসপাতালে আছেন। তবে ভালো আছেন। ফোনে তাঁদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০ জনের এনডিআরএফ দল পৌঁছে গেছে। প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে।

বিমানটি ছিল ১৩ বছরের পুরনো। পাইলট ক্যাপ্টেন শাঠে অভিজ্ঞ বিমানচালক ছিলেন। যেহেতু বিমানটি ওপর থেকে নিচে পড়ে, তাই সামনের দিকটা সব চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কোঝিকোড় বিমানবন্দরের চারদিকে ছোট পাহাড় আছে। এমনিতেই এখানে বিমান নামানো মুশকিল। তার ওপর প্রবল বৃষ্টিতে রানওয়ের অবস্থা আরো খারাপ ছিল। আবহাওয়া ও রানওয়ের অবস্থা পাইলটকে ঠিকভাবে জানানো হয়েছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)