1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেরালার হাসপাতালে দুই দিনে ২১টি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার

২৪ এপ্রিল ২০১১

নবজাতক শিশু এবং প্রসূতি মায়ের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার তোয়াক্কা না করেই দুই দিনে ২১ টি সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করেছে কেরালার একটি সরকারি হাসপাতাল৷ প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে স্বাস্থ্য সেবায় এই অব্যবস্থাপনার ঘটনা৷

https://p.dw.com/p/113BO
ফাইল ছবিছবি: picture-alliance/ZB

বাংলাদেশে সম্প্রতি জানা গেছে শিশুজন্মের ক্ষেত্রে অধিক হারে সিজার করার ঘটনা৷ এবার তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসল কেরালার চেরথালা তালুক সরকারি হাসপাতালের কাণ্ড৷ সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হয়েছে এমন একজন প্রসূতি নারীর আত্মীয় অভিযোগ করলে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়৷ এমনকি কোন কোন রোগীর অভিযোগ, তাড়াহুড়া করে অস্ত্রোপচার না করলে আর ৪/৫ দিন পর স্বাভাবিক নিয়মেই শিশুর জন্ম হতে পারতো৷ এই ঘটনা প্রকাশের পর জেলা মেডিক্যাল কর্মকর্তা কে এম সিরাবুদিন ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট তিন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট-কে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সুপারিশ করেছেন৷

তদন্তে জানা গেছে, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ছুটির পরিকল্পনার সাথে তাল মেলানোর কারণে রোগীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় সার্বিক সুবিধার কথা বিবেচনা না করেই গণহারে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার চালানো হয়েছে৷ মূলত টানা কয়েকদিন ইস্টার ছুটি ভোগ করার লোভেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন চিকিৎসকরা বলে অভিযোগ উঠেছে৷ চিকিৎসকদের এমন নির্মম সিদ্ধান্তের জন্য উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যে কেরালায় বিক্ষোভ করেছে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের যুব ও নারী শাখা৷ এ প্রেক্ষিতে ঘটনাটি আরো ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করার ঘোষণা দিয়েছে কেরালা সরকার৷

স্বাস্থ্য বিষেশজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা - ডাব্লিউএইচও'র বেধে দেওয়া সীমার চেয়ে অনেক বেশি হারে প্রতি বছর সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা হচ্ছে কেরালায়৷ প্রতি ১০০ সন্তান প্রসবের ঘটনার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ টি অস্ত্রোপচার করার সীমা বেধে দিয়েছে ডাব্লিউএইচও৷ অথচ কেরালায় শতকরা ৪৫ টি সিজার অস্ত্রোপচার করার ঘটনা ঘটছে৷

প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই

সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য