কেমন আছে জার্মানির গাড়ি শিল্প?
গাড়ি নির্মাণ ও রপ্তানিতে বরাবরই শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে জার্মানি৷ সম্প্রতি দেশটির গাড়ি শিল্প ও ব্যবসায় এসেছে নতুন বেশ কয়েকটি খবর৷ বিস্তারিত জানুন ছবিঘরে...
এক নজরে জার্মানির গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলি
জার্মানিতে তৈরি গাড়ির চাহিদা বিশ্বজুড়ে৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান অবশ্যই ফক্সভাগেন৷ এছাড়াও রয়েছে ডাইমলার, মার্সিডিজ বেনজ, মায়বাখ, আউডি, পোর্শে, ওপেল ও বিএমডব্লুর মতো নামকরা কোম্পানি৷ জার্মানিতে আছে টেসলার মতো বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর গাড়ি তৈরির কারখানাও৷
ডাইমলারের হাল হকিকত
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে পরিবর্তিত পরিবেশনীতির কারণে কিছুটা হলেও লোকসানের সম্মুখীন গাড়ি ব্যবসা৷ এজন্য আগামী দুই বছরের মধ্যে কিছু কঠিন পদক্ষেপ নিবে ডাইমলার৷ ২০২২ সালের মধ্যে বিশাল সংখ্যায় কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি৷ যার মাধ্যমে সাশ্রয় করা হবে প্রায় ১০০ কোটি বাংলাদেশি টাকার সমান অর্থ৷
তেল নয়, ভরসা বিদ্যুতে
পেট্রোল বা অন্যান্য জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাতে জার্মান সরকার জনগণকে উদ্বুদ্ধ করছে তেলচালিত গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি বেছে নিতে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানির সড়কে আনুমানিক এক কোটি বৈদ্যুতিক গাড়ি চলাচল শুরু করতে চায় সরকার৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের একটি বক্তব্যেই উঠে আসে এই তথ্য৷
সবেতেই সমান স্বচ্ছন্দ্য বিএমডব্লু
তেলচালিত গাড়ির পাশাপাশি বাজার ধরতে বিএমডব্লু নেমেছে বৈদ্যুতিক গাড়িতে৷ বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়িই শুধু নয়, জার্মানিতে এ ধরনের যান চার্জ দেবার জন্য চার হাজার স্টেশন বানাতে চলেছে তারা৷
বার্লিনে টেসলার নতুন কারখানা
বহু দেশেরই ইচ্ছা ছিল, তাদের জমিতে কারখানা তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা টেসলা৷ নিউ ইয়র্ক, সাংহাইয়ের পর এবার তাদের গিগাফ্যাক্টরি আসতে যাচ্ছে জার্মানিতে৷ ‘গিগাফ্যাক্টরি ৪’ নামের এই অত্যাধুনিক কারখানাটি তৈরি হতে চলেছে দেশটির রাজধানী বার্লিনেই৷ এমনটাই জানিয়েছেন টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক৷
স্থিতাবস্থাই আনবে সমস্যা
সম্প্রতি হেলেনিক শিপিং নিউজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয় ভবিষ্যতে জার্মান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে তাদের স্থিতাবস্থার প্রতি অস্বাভাবিক প্রীতি৷ অ্যামেরিকান কোম্পানিগুলো যেভাবে নতুন ঝুঁকি নিতে পছন্দ করে, তার ঠিক উল্টোটাই দেখা যায় জার্মানিতে, যা ভবিষ্যতে গাড়ি-বাজারের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে চীন বা জাপানের দিকে, বলা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে৷
এসএস/কেএম (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ, হেলেনিক শিপিং নিউজ)