কেজরিওয়ালের শপথ
তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। শুরু হল নতুন বিতর্কও। মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আশীর্বাদ চাইলেন তিনি।
আবার মুখ্যমন্ত্রী
নির্বাচনে তাঁর প্রধান বিরোধী শক্তি ছিল বিজেপি। মোদী-শাহ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে সরাসরি আসরে নেমেছিলেন। তা সত্ত্বেও শপথ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। শুধু তাই নয়, শপথ মঞ্চ থেকে মোদীর আশীর্বাদও চাইলেন।
কেন মোদী
রাজনৈতিক মহলে কেজরিওয়ালের এই মন্তব্য নিয়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। মোদীর কাছে আশীর্বাদ চাওয়া কি কেবলই রাজনৈতিক সৌজন্য, না কি এ কথা বলে বিজেপির সঙ্গে সুসম্পর্কের রাস্তা খুলে রাখতে চাইছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
শপথে নেই বিরোধী শিবির
লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে মহাজোটে যোগ দিয়েছিলেন কেজরিওয়াল। অন্ধ্রপ্রদেশে গিয়ে চন্দ্রবাবুর হয়ে প্রচার করেছিলেন। এমনকী বিরোধী বৈঠকে নিযমিত যোগ দিতেন আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং৷ সেই কেজরিওয়াল নিজের শপথ অনুষ্ঠানে ডাকলেনই না বিরোধী নেতাদের। এ বিষয়টি ঘিরেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সম দূরত্ব নীতি
অনেকে বলছেন, বিজেপি এবং বিরোধী শিবির দুই তরফের সঙ্গেই সম-দূরত্ব বজায় রাখতে চাইছেন কেজরিওয়াল। কারণ এ বার তাঁর লক্ষ্য জাতীয় রাজনীতি।
ভিন্ন সূত্র
কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ মহল অবশ্য বলছে, বিজেপির সঙ্গে সখ্যের কোনও প্রশ্নই নেই। বরং উল্টোটাই। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে তিনি আশীর্বাদ চেয়েছেন, ব্যক্তির কাছে নয়। আর কংগ্রেস যেহেতু দলীয় মুখ্যমন্ত্রীদের শপথে আসতে দিত না, সে কারণেই এ বার কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেই আহ্বান জানাননি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তিনি শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে বিরোধী শক্তি দেখানোর মঞ্চ করতে চাননি৷
প্রথম তিন
শপথ নেওযার পর কেজরিওযাল জানিযেছেন, তিনি প্রথম যে তিনটি সিদ্ধান্ত রূপাযণ করবেন, তা হল, রাজ্য়ের বাকি সব রাস্তায় সিসিটিভি, সরকারি স্কুলের প্রতিটি ক্লাসে সিসিটিভি৷ অবিভাবকদের ফোনে পাসওযার্ড দেওযা হবে৷ তারা লাইভ দেখতে পারবেন বাচ্চারা ক্লাসে আছে কি না, কী পড়ছে৷ আর রেশন কার্ড, লাইসেন্স সরকারি পরিষেবা চাইলে একটা ফোন করলেই হবে৷ সরকারি লোক বাড়ি এসে সেই কাজ করে দেবেন৷
পাশে উপমুখ্যমন্ত্রী
কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভায় বিশেষ কোনও বদল হয়নি। এ বারেও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মনীষ সিসোদিয়া। শপথ অনুষ্ঠানে দলীয় নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি ডাকা হয়েছিল দিল্লির বিশিষ্টজনেদের। সরকারি শিক্ষক, চিকিৎসক সকলেই উপস্থিত ছিলেন সেখানে।
মায়ের চোখে জল
মেটে রঙের শাড়ি পরে ছেলের শপথ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কেজরিওয়ালের মা। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কেজরিওয়াল যখন শপথ নিচ্ছেন, কেঁদে ফেললেন তিনি।