1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে দুর্বল প্রার্থী কং-বিজেপির

গৌতম হোড়
২১ জানুয়ারি ২০২০

অনেক চষ্টা করেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে খুব পরিচিত কোনো প্রার্থী দিতে পারলো না বিজেপি বা কংগ্রেস৷ শেষ পর্যন্ত দুই দলই প্রায় অপরিচিত য়ুব নেতাকে প্রার্থী করেছে

https://p.dw.com/p/3WXQ4
ছবি: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়তেই রাজি হলেন না বিজেপি ও কংগ্রেসের পরিচিত মুখেরা৷ দুই দলই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রার্থী দিতে চেয়েছিল৷ অনেক নেতার সঙ্গে কথাও বলেছিল তারা৷ কিন্তু কেউ রাজি হননি৷ শেষে নিরুপায় হয়ে শক্তিশালী প্রার্থী দাঁড় করানোর মনসা থেকে সরে এসে অল্প পরিচিত যুব নেতাদেরই দাঁড় করাতে হয়েছে৷ মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন৷ এ দিন সকালে বিজেপি জানায়, নয়াদিল্লি কেন্দ্রে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রার্থী হলেন সুনীল যাদব৷ তিনি হলেন দিল্লি বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি৷ দিল্লির রাজনীতিতে বিজেপি বা কংগ্রসের যুব মোর্চার ভূমিকা নেই বললেই চলে৷ তার সভাপতিকেও খুব বেশি লোক চেনেন না৷ সুনীলের টুইটার ফলোয়ারের সংখ্যা এখন মাত্র সতেরো হাজার৷

প্রবীণ সাংবাদিক ও বিজেপি বিশেষজ্ঞ শরদ গুপ্তা ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার জন্য বিজেপি কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছিল৷ শুনেছি, প্রাক্তন আপ নেতা কুমার বিশ্বাসকে তাঁরা প্রার্থী করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তিনি রাজি হননি৷ শেষ সময়ে বিনা প্রস্তুতিতে লড়তে অনেকেই উৎসাহ দেখাবেন না এ তো জানা কথা৷''

কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে প্রার্থীর নাম কংগ্রেস ঘোষণা করে সোমবার রাত এগারোটার পর৷ প্রার্থীর নাম রমেশ সাবরওয়াল৷ কংগ্রেসের ছাত্র শাখা এনএসইউআই এর সভাপতি ছিলেন৷ গত কয়েকবার তঁকে প্রার্থী পর্যন্ত করেনি কংগ্রেস৷ সূত্র জানাচ্ছে, শীলা দীক্ষিতের মেয়ে লতিকা দীক্ষিত ও বোন রমা ধাওয়ানকে প্রার্থী করার জন্য কংগ্রেস আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল৷ কিন্তু তাঁরা রাজি হননি৷ প্রবীণ সংবাদিক মঞ্জরি ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''কংগ্রেসে বড় নেতারা কেউ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে লড়তে রাজি হননি৷ এখন কংগ্রেস নেতারা বলছেন, তাঁদের কৌশল হল, বড় কাউকে প্রার্থী করে কেজরিওয়ালকে বেশি গুরুত্ব না দেওয়া৷ আঙুর ফল টক এর মতো ঘটনা'' 

আপ মুখপাত্র ও বিধায়ক সৌরভ ভরদ্বাজের প্রতিক্রিয়া, ''বিজেপি তো কেজরিওয়ালের কছে কার্যত আত্মসমর্পন করে দিল৷''  শরদ গুপ্তা মনে করছেন, ''২০১৩ তে কেজরিওয়াল হারিয়েছিলেন শীলা দীক্ষিতকে৷ ২০১৫তে তিনি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন৷ এই অবস্থা দেখে বড় কোনও প্রার্থী সম্ভবত লড়তে চাননি৷ গতবার কিরণ বেদীর উদাহরণও আছে৷ শেষ সময়ে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপির নেতৃত্ব হাতে নিয়ে তিনি গোহারা হেরেছিলেন৷''

আপ মনে করছে, কেজরিওয়ালকে অন্তত নিজের কেন্দ্রে প্রচারের জন্য খুব বেশি পরিশ্রম করতে হবে না৷ স্ত্রী ও মেয়ের হাতে প্রচারের দায়িত্ব দিয়ে তিনি অন্য কেন্দ্রে দলের প্রার্থীকে জেতাতে ঝাঁপাতে পারবেন৷ নিজের কেন্দ্রে তাঁর জয় নিয়ে খুব বেশি আলোচনারও অবকাশ থাকল না৷