1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

খাদ্য-সংকট

১৪ জুন ২০১৩

ধারণা করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে ইউরোপও গ্রীষ্মকালে খরার কবল থেকে রক্ষা পাবে না, চাষিদের জন্য যা ডেকে আনবে এক বিরাট বিপর্যয়৷

https://p.dw.com/p/18pfb
ছবি: picture-alliance/ZB

সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা এক ডিগ্রি বাড়লে শস্যের ফলন ১০ শতাংশ কমে যায়৷ গম ও যব গাছ বীজ বেড়ে ওঠার সময় সবচেয়ে নাজুক থাকে৷ তাপ ও অতিরিক্ত শুকনো আবহাওয়ায় এইসব শস্যের উৎপাদন ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে৷

জার্মানির গাটার্সলেবেন শহরের উদ্ভিদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের বিজ্ঞানীরা বিশেষ ধরনের উদ্ভিদের খোঁজ করছেন, যেগুলি সামান্য পানিতেও টিকে থাকতে পারে, তাপ ও শুষ্কতা সত্ত্বেও যথেষ্ট শস্য উত্পাদন করতে পারে৷

গবেষণাগারে এক এক টবে একেক ধরনের যবের চারা বড় হচ্ছে৷ প্রথমে উদ্ভিদের চারাগুলি অল্প কয়েক ফোঁটা পানি পায়৷ তারপর একেবারেই পানি দেওয়া হয় না৷ কম্পিউটারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এই পানি সরবরাহ ব্যবস্থা৷ বিজ্ঞানীরা জানতে চান, কোন ধরনের যব এই অবস্থায়ও টিকে থাকে, কোন জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া এর জন্য দায়ী৷ এর জন্য বিশেষজ্ঞরা স্থায়ী পরীক্ষা চালান, নানা তথ্য সংগ্রহ করেন৷

Dürre Malawi Nsanje Feldarbeit Bauern
খরার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষকরাছবি: picture-alliance/ dpa

সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া পানির সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে বলে গাছের পাতা বিজ্ঞানীদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ৷ গবেষকরা বার বার নমুনা নিয়ে সেগুলি তাড়াতাড়ি মাইনাস ১৯৬ ডিগ্রিতে জমাট করেন, যাতে তার মধ্যে কোনো পরিবর্তন না ঘটতে পারে৷ তারপর গবেষণাগারে জিন ও প্রোটিনের জটিল সম্পর্ক পরীক্ষা করা হয়৷

গাছের এই পাতার মধ্যেই হয়তো ভবিষ্যতের চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে৷ শুকনো অবস্থায় উদ্ভিদের মধ্যে যে সব আণবিক প্রক্রিয়া ঘটে, তা ভালোভাবে বুঝতে চান উদ্ভিদ বিজ্ঞানী হার্ডি রলেচেক৷ তিনি বলেন, ‘‘আসল অসুবিধা হলো, বাস্তবে নানা রকমের জিন ও প্রোটিন রয়েছে৷ যার সংখ্যা কয়েক লক্ষেরও বেশি৷ এগুলি যে শুধু বিভিন্ন সময়ে সক্রিয় থাকে তাই নয়, একটির ওপর আরেকটির প্রতিক্রিয়াও কম নয়৷ বলা যায় এর কোনো সীমা নেই৷ আর এই সমস্ত প্রক্রিয়াটা বোঝাই আমাদের মতো গবেষণা প্রকল্পগুলির মূল লক্ষ্য৷''

এই গবেষণায় প্রচুর তথ্য উপাত্ত জমা হতে থাকে৷ শুধু বিশেষ ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমেই এত তথ্যের বিশ্লেষণ করা সম্ভব৷ শুষ্ক পরিবেশের চাপ বুঝতে এবং আদর্শ জিন খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ কিন্তু তাঁরা সেই উত্তর পাওয়ার আগেই হয়তো অনেক উদ্ভিদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে৷

আরবি / এসবি