1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কৃষকদের ভারত বনধে সাড়া, বহু রাস্তা বন্ধ

২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১

কৃষক সংগঠনগুলির ডাকে সোমবার শুরু হয়েছে ভারত বনধ। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানার অনেক রাস্তাই বন্ধ।

https://p.dw.com/p/40uHk
প্রতীকী চিত্র।ছবি: ADNAN ABIDI/REUTERS

তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে একযোগে আন্দোলন করছে ৪০টি কৃষক সংগঠন। দিল্লির সীমানায় তারা বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখাচ্ছে। সরকার তাদের দাবি না মানায় সোমবার তারা ভারত বনধের ডাক দিয়েছে। সকাল ছয়টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত বনধ হবে বলে জানিয়েছে সংযুক্ত কৃষক মোর্চা। আর তাদের ডাকা বনধকে সমর্থন করছে, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, বাম, স্বরাজ দল, এনসিপি, ডিএমকে, আরজেডি এবং তেলুগু দেশম পার্টি।

কৃষকরা ইতিমধ্যেই গাজিপুরে দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশে যাওয়ার সড়ক বন্ধ করে দিয়েছেন। দিল্লি-মিরাট হাইওয়েতেও বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা। মানেসরের কাছে তারা দিল্লি-হরিয়ানা সড়কও বন্ধ করেছেন। পাঞ্জাব ও হরিয়ানা সীমানাও তারা বন্ধ করে দিয়েছেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে লালকেল্লার সামনে রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এই বিক্ষোভের ফলে দিল্লি ও গুরুগ্রাম সীমানায় সকাল থেকেই ব্যাপক যানজট হয়েছে। কৃষকরা বিভিন্ন জায়গায় রেললাইনের উপরেও বসে পড়েছেন। 

পাঞ্জাবের বিভিন্ন জায়গায় কৃষকরা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। অমৃতসরে প্রচুর কৃষক জড়ো হয়েছেন। তারা রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন। কৃষক নেতা শরণ সিং বলেছেন, দিল্লির সীমানায় কৃষক নেতারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সরকার তাদের কথা শুনছে না। তাই তারা ভারত বনধ ডাকতে বাধ্য হয়েছেন।

মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস, এনসিপি ভারত বনধকে সমর্থন করছে। মুম্বই-আমদাবাদ হাইওয়ে সকালে দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল। ফলে বিশাল যানজট দেখা যায়।

কেরালায় ক্ষমতাসীন বাম ও প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস ভারত বনধকে সমর্থন করছে। তাই কেরালা পুরোপুরি বন্ধ। হরিয়ানাতেও বনধের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে ও উত্তরাখণ্ডেও কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

সরকারের বক্তব্য

কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেছেন, সরকার কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। তাই কৃষকদের উচিত এই ধরনের আন্দোলন থেকে বিরত থাকা এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা।

তবে কৃষক নেতারা এর আগে বলেছেন, সরকার তাদের মূল দাবি মানতে রাজি নয়। সরকার কিছুতেই তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিল করবে না। তাই সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো লাভ হচ্ছে না। সরকার তাদের মূল দাবি মানতে না চাইলে আলোচনায় বসে কোনো লাভ নেই।

ভোটের আগে

উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, পাঞ্জাবের মতো রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে তো আগামী বছরের গোড়ায় বিধানসভা নির্বাচন। তাই, কৃষকরাও এখন আবার আন্দোলন জোরদার করে সরকারের উপর বাড়তি চাপ দেয়ার চেষ্টা করছেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বিক্ষোভরত কৃষকদের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এএনআই)