1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কূটনীতির পথ বন্ধ হয়ে গেল’

২৫ জুন ২০১৯

মার্কিন প্রশাসন সোমবার ইরানের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপানোর ফলে সংলাপ আর সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ইরান৷ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সব পক্ষের উদ্দেশ্যে উত্তেজনা কমাতে সংযমের ডাক দিয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3L2Sr
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Brandon

প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন-এর সঙ্গে দু-দুবার মিলিত হয়েছেন৷ ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই বা প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানির সঙ্গে সাক্ষাতের ‘কৃতিত্ব' নিতেও যে তিনি আগ্রহী, বার বার সেই ইঙ্গিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট৷ ইরানের সঙ্গে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করেও তিনি সংলাপের প্রস্তাব দিয়ে চলেছেন৷ কিন্তু মঙ্গলবার ইরান জানিয়ে দিয়েছে, যে ওয়াশিংটন নতুন নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়ে তেহরানের সঙ্গে কূটনীতির পথ স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিলো৷ সে দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এই মন্তব্য করেন৷ সেই সঙ্গে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বেপরোয়া আচরণের সমালোচনা করে লেখেন, যে ওয়াশিংটন বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রচলিত আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করছে৷

এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ‘সর্বোচ্চ সংযম'-এর ডাক দিয়েছে৷ সেইসঙ্গে সব পক্ষের উদ্দেশ্যে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেবারও ডাক দিয়েছে জাতিসংঘ৷ হরমুজ প্রণালীতে পেট্রোল ট্যাংকারের উপর হামলারও নিন্দা জানানো হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন এই হামলার জন্য তেহরানকে দায়ী করলেও ইরান তা অস্বীকার করেছে৷ মতপার্থক্য দূর করতে সংলাপের ডাক দিয়েছে নিরাপত্তা পরিষদ৷ তবে জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তখত-রাভাঞ্চি এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এমন কারো সঙ্গে সংলাপ শুরু করা কীভাবে সম্ভব, ইরানের উপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানো যার প্রাথমিক কাজ?'' ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি নতুন এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘অর্থনৈতিক সন্ত্রাসবাদ'-এর সমান বলে উল্লেখ করেছেন৷

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সোমবার নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইরানের নেতৃত্বের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন৷ সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই ও বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার ছাড়া তালিকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জরিফেরও নাম রয়েছে৷ ইরানের সর্বোচ্চ কূটনীতিকের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে কীভাবে সংলাপ শুরু করা সম্ভব, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে নানা মহল৷ ট্রাম্প অবশ্য দাবি করেছেন, যে ওয়াশিংটন এতকাল যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে৷ তবে তাঁর মতে, ভবিষ্যতেও এমনটা থাকবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ মার্কিন গোয়েন্দা ড্রোন ধ্বংসের মতো ‘আগ্রাসী আচরণ' নতুন এই নিষেধাজ্ঞার কারণ, বলেন ট্রাম্প৷

চলতি সপ্তাহে জাপানে জি-টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনেও ইরানের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ ট্রাম্প প্রশাসন যেভাবে আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি বর্জন করে একরতফাভাবে ইরানের উপর চাপ সৃষ্টি করে চলেছে, প্রায় সব আন্তর্জাতিক শক্তি তার বিরোধিতা করছে৷ বিশেষ করে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে ইরান থেকে পেট্রোলিয়াম কেনা ও সে দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক দেশেরই সমস্যা হচ্ছে৷ তবে ওয়াশিংটনের আচরণের বিরুদ্ধে এখনো জোরালো কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না৷

এসবি/কেএম (ডিপিএ, রয়টার্স)