কুস্তির ঐতিহ্য বজায় রেখেছে কলকাতা
গত প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে উত্তর কলকাতায় রাস্তার উপর এই কুস্তি প্রতিষোগিতার আয়োজন হয়। এই প্রতিযোগিতা থেকে জাতীয় স্তরেও গেছেন বহু কুস্তিগির।
কুস্তির কলকাতা
কলকাতায় কুস্তি সংস্কৃতি বহুদিনের। সেই জমিদার আমল থেকেই গঙ্গার ধারে গড়ে উঠেছিল একাধিক কুস্তির আখড়া। এখনো সেই আখড়াগুলিতে কুস্তি হয়।
রবীন্দ্রনাথ এবং পালোয়ান
গঙ্গার ঘাটে কুস্তি করতে যাওয়ার কথা রবীন্দ্রনাথও লিখেছেন 'ছেলেবেলা'য়। তবে সেখানে যেতে যে তার ভালো লাগতো না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কবি।
গোবর গোহ ইতিহাস
১৯২১ সালে কলকাতার পালোয়ান গোবর গোহ প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছিলেন কুস্তিতে। তখনো কুস্তি কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় খেলা হিসেবে পরিচিত ছিল।
রাস্তার মাঝে কুস্তি
মাঝে কুস্তির সংস্কৃতি খানিক কমেছিল। কিন্তু অলিম্পিকে রবি কুমার পদক পাওয়ার পর কলকাতার কুস্তি ফের জমে উঠেছে। গত ৫০ বছর ধরে উত্তর কলকাতার এই রাস্তায় কুস্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়।
জাতীয় মানের কুস্তি
এই প্রতিযোগিতায় বহু জাতীয় স্তরের প্রতিযোগী অংশ নেন। কুস্তির রিং ঘিরে থাকে দর্শক।
মেয়েরাও পিছিয়ে নেই
আগে কেবল পুরুষদের কুস্তির আয়োজন হতো। এখন মেয়েদের ইভেন্টও সমান গুরুত্ব দিয়ে হয়।
কুস্তিতে আগ্রহ বাড়ছে
আয়োজকদের দাবি, অলিম্পিকে কুস্তিতে ভারত পদক জেতার পর থেকে কুস্তিতে আগ্রহ বাড়ছে বর্তমান প্রজন্মের। তবে আখড়া নয়, আধুনিক অ্যাকাডেমিতে যেতেই তারা বেশি পছন্দ করছে।