কুখ্যাত জেলের দিনরাত্রি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ ভাষণে নতুন করে ভাগ্য নির্ধারণ হলো কুখ্যাত গুয়ান্তানামো জেলের৷ ২০০৯ সালে জেলটি বন্ধ করার কথা বলেছিলেন বারাক ওবামা৷ ট্রাম্প জানিয়েছেন, বন্ধ তো হবেই না, বরং আরো বন্দি পাঠানো হবে৷
জালে ঘেরা জেল
বলা হয়, মানবিকতা শব্দটির কোনো অস্তিত্ব নেই এই জেলে৷ মার্কিন এলিট ফোর্স ইউএস মেরিনের অন্যতম বেস কিউবার গুয়ান্তানামো৷ কুখ্যাত আন্তর্জাতিক অপরাধীদের এই জেলে রাখা হয় বলে দাবি৷ চলে অকথ্য অত্যাচার৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলির দাবি, এই জেলের বহু অপরাধীরই কোনো বিচার হয় না৷
ভোরের নামাজ
দিনের ২৪ ঘণ্টা কঠোর নিয়মের মধ্যে কাটাতে হয় জেলের বন্দিদের৷ তবে সকালে নমাজ পড়তে দেওয়া হয়৷ দল বেঁধে বন্দিরা সে সময় দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে নমাজ পড়ে৷
পালাবার পথ নেই
এটাই হলো গুয়ান্তানামো বে জেলের প্রধান ফটক৷ এক বন্দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ভেতরে৷ নিরাপত্তার চক্রব্যূহ তৈরি করা হয়েছে জেল চত্বরে৷ আজ পর্যন্ত কেউ সেই নিরাপত্তার বলয় ভেঙে বেরতে পারেনি৷ ওবামা বলেছিলেন, বন্ধ করে দেওয়া হবে এই জেল৷ অপরাধীদের অন্যত্র পাঠানোও হচ্ছিল৷ ট্রাম্পের ঘোষণার পর নতুন করে সাজানো হচ্ছে গুয়ান্তানামো৷
কথা বলার নির্দিষ্ট সময়
বন্দিরা নিজেদের মধ্যে কথা বলার বিশেষ সুযোগ পায় না এই জেলে৷ দিনের সামান্য সময়েই তারা সেল থেকে মুক্তি পায়৷ কথা বলার জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট জায়গা৷
বেরি পড়ানো পা
জেলের ভিতর বন্দিদের জন্য রয়েছে কিছু প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা৷ কিন্তু সেই ক্লাসেও তাদের পায়ে শিকল বেঁধে রাখা হয়৷ কখনো কখনো হাতও বেঁধে রাখা হয় চেয়ারের সঙ্গে৷
এ টুকুই সম্বল
জেলে ঢোকার সময় বন্দিদের কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে নেওয়া হয়৷ বদলে পাওয়া যায় পরনের পোশাক, তোয়ালে, চটি আর সামান্য খাবার৷ আর অবশ্যই হাতকড়া৷
জেরার ঘর
দিনের অধিকাংশ সময় এই ঘরেই কাটে বন্দিদের৷ ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে এই ঘরে জেরা করা হয় তাদের৷ অভিযোগ, অকথ্য অত্যাচারও চালানো হয়৷ বহু সময়েই জেরার সময় বন্দিদের চোখ বেঁধে রাখা হয়৷
জেরার আগে
এক বন্দিকে সেল থেকে জেরার ঘরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ নিরাপত্তারক্ষী ছাড়াও অনেক সময় এই রাস্তায় ছেড়ে রাখা হয় হিংস্র কুকুর৷ বন্দিরা দাঁড়িয়ে পড়লে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুর৷
দশ ফুট বাই দশ ফুট
অধিকাংশ সেলই অপ্রশস্থ৷ সবুজের চিহ্নমাত্র নেই আশপাশে৷ তারই মধ্যে বন্দিরা খুঁজে নেয় তাদের প্রার্থনার জায়গা৷
সুবিধাপ্রাপ্ত বন্দি
দু’রকমের বন্দি আছে এই জেলে৷ একদলকে মনে করা হয় অতি অপরাধী৷ তাদের জন্য বরাদ্দ হয় আরো ছোট সেল৷ তুলনায় কম অপরাধীদের সেলের পরিসর হয় সামান্য বড়৷ এটা তেমনই এক সেল৷ শোনা যায়, ছোট সেলের বহু বন্দিই মানসিক বিকার হারিয়ে ফেলেন কয়েকবছরের মধ্যে৷