কুইজে এ সপ্তাহের বিজয়ী হলেন...

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

যাদের বয়স দুই বছরের কম

বয়স দুই বছরের কম হলে শিশুর পর্যাপ্ত বদ্ধির জন্য প্রয়োজন ফুল ক্রিম দুধ৷ বয়স দুই পার হলে ওকে আস্তে আস্তে পাস্তুরিত বা একটু কম ক্রিমযুক্ত দুধ দেওয়া শুরু করা যায়৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

বয়স যখন পাঁচ বছরের কম

শিশুদের বিভিন্ন বয়সে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের প্রয়োজন৷ আর তা শুরু করতে হয় শিশু বয়স থেকেই৷ যেমন পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুকে কখনো লো -ফ্যাট খাবার বা অতিরিক্ত আঁশযুক্ত বা চর্বিজাতীয় খাবার দেওয়া উচিত নয়৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

পাঁচ থেকে এগারো

পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুকে কম ফ্যাটযুক্ত দুধ এবং আঁশযুক্ত খাবারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

বাড়ন্ত বয়সে

বাড়ন্ত শিশুদের প্রয়োজন অনেক বেশি প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম৷ বাড়ন্ত বয়সে শিশুদের মাছ এবং চর্বি ছাড়া লাল মাংসের প্রয়োজন একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর প্রায় সমান৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

মেয়েদের প্রয়োজন আয়রন

মেয়েদেরও সব খাবারই খেতে হবে, তবে পরিমাণে কিছুটা কম৷ মেয়েদের অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণে আয়রনযুক্ত খাবার খেতে হবে৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

যা করবেন না

শিশুকে কখনো বলা উচিত নয় যে, ভালো ব্যবহার করলে বা লক্ষ্মী হয়ে বসে থাকলে তাকে পুরস্কার হিসেবে চকলেট দেওয়া হবে৷ কারণ, শিশুদের স্কুলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চকলেট দেওয়া একেবারেই উচিত নয়৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

মিষ্টি বা আইসক্রিম

শিশু তার খাবারটা খেতে না চাইলে অনেক মা বা বাবাকে বলতে শোনা যায়, খাবার শেষ করলে চকলেট, মিষ্টি বা ডেজার্ট দেওয়া হবে৷ এই কাজটিও করা উচিত নয়, কারণ, শিশুরা তখন ভাবতে শুরু করে যে, প্রধান খাবারের চেয়ে ‘মিষ্টি’ খাবারই বেশি জরুরি৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

শিশুকে ধীরে ধীরে জানিয়ে দিন

শুধু স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করা নয়, এর পাশাপাশি শিশুকে জানিয়ে দিন, কী খেলে শরীরে কী হয় আর না খেলে কী ক্ষতি হতে পারে৷ এতে ওরা ছোটবেলা থেকেই বুঝতে শিখবে স্বাস্থ্যকর বা অস্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

ঘরে রান্না খাবার

সম্ভব হলে ছুটির দিনে বাচ্চাদের সাথে নিয়ে রান্না করুন এবং ঘরে রান্না করা খাবার কত স্বাদ এবং কতটা স্বাস্থ্যকর তা খাবার টেবিলে সবাই মিলে আনন্দ করে খাওয়া উপভোগ করে বুঝিয়ে দিন৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

পরিবর্তন হতেই পারে

তবে বাইরের খাবার একদমই খাওয়া যাবে না, তা কিন্তু নয়! তাছাড়া মাঝেমধ্যে সকলেরই পরিবর্তন কিছুটা প্রয়োজন, তাই শিশুদের নিয়ে অবশ্যই বাইরের খাবার খাওয়া যেতে পারে৷ তবে তা যেন নিয়মিত না হয়৷ অনেক সময় শিশুদের কোনো কিছু ‘না’ করলে তার প্রতি ওদের আগ্রহ আরো বেড়ে যায়৷

সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে শেখানোর কিছু উপায়

পানীয়

পিপাসা মেটাতে কোকাকোলা বা ফান্টা জাতীয় মিষ্টি খাবার না দিয়ে প্লেন পানি পান করার অভ্যাস করানো ভালো৷ প্রয়োজনে ফলের রস করে দিতে পারেন কিংবা মিল্কশেক বা দুধের তৈরি কোনো ড্রিংক৷ এই পরামর্শগুলো দিয়েছেন পরিবার বিষয়ক মনোবিজ্ঞানী ডা. মাথিয়াস পেটসেল্ড৷

লেখক: নুরুননাহার সাত্তার