কীভাবে নির্বাচিত হন জার্মান প্রেসিডেন্ট
৩০ জুন ২০১০এই ফেডারেল পরিষদের ১,২৪৪ জন সদস্যের মধ্যে ৬২২ জন জার্মান সংসদের নিম্নকক্ষ বুন্ডেসটাগের সদস্য৷ বাকি ৬২২ জন সদস্য জার্মানির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি৷ রাজ্যগুলোতে কোন্ দলের শক্তি কতখানি তার ওপর নির্ভর করে এই প্রতিনিধিত্ব৷ তবে এই প্রতিনিধিদের রাজ্য বিধানসভার সদস্য হতেই হবে এমন নয়৷ এমনকি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্যও যে হতে হবে তা নয়৷ দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেয়া যেতে পারে৷ যেমন গায়িকা, নায়িকা, শিল্পী, শিক্ষক, চিকিৎসক অথবা কোন খেলোয়াড়৷
যেমন, এবারের নির্বাচনে ফেডারেল পরিষদের প্রতিনিধি হয়েছেন জার্মান অভিনেত্রী নিনা হস, যাচ্ছেন ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান লেখক নাভিদ কেরমানি৷ ২০০৬ সালে জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলকে নিয়ে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছিলন ভর্টমান৷ তিনিও রয়েছেন প্রতিনিধিদের মধ্যে৷
বিজয়ীকে অবশ্যই অন্তত ৬২৩ টি ভোট পেতে হবে৷ অর্থাৎ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকতে হবে প্রার্থীর৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ক্ষমতাসীন জোট সরকারের দল সিডিইউ/সিএসইউ এবং এফডিপি আশা করছে, তাদের প্রার্থী ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ ৬৪৫ থেকে ৬৪৭ ভোট পাবেন৷ যা কিনা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি৷ ভোট হয়ে গেলেই এবারকার এই পরিষদ ভেঙে যাবে৷
এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী মোট চারজন৷ প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুজন - সরকারি কোয়ালিশনের প্রার্থী বিশিষ্ট খ্রিস্টীয় গণতন্ত্রী রাজনীতিক, লোয়ার স্যাক্সনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান ভুল্ফ৷ বিরোধী সামাজিক গণতন্ত্রী ও সবুজ দলের প্রার্থী হলেন সাবেক কমিউনিস্ট পূর্ব জার্মানির সময়কার বিরুদ্ধবাদী ও যাজক ইওয়াখিম গাউক৷ বামপন্থি লিঙ্কসপার্টাই-এর প্রার্থী হলেন অবসরপ্রাপ্ত মহিলা সাংবাদিক লুক ইয়খিনজেন৷
নির্বাচনের প্রথম দফায় কেউই যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান তাহলে দ্বিতীয় পর্বে ভোট হবে সর্বাধিক ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীকে নিয়ে৷ সেখানেও যদি কেউ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পান তাহলে তৃতীয়বার ভোট হবে৷ তখন সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতাই যথেষ্ঠ৷ অর্থাৎ দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন যদি একটি ভোটও বেশি পান তাহলে তাঁকেই বিজয়ী বলে ঘোষণা করা হবে৷ তিনিই হবেন জার্মানির নতুন প্রেসিডেন্ট - এবং পাঁচ বছরের জন্য৷ প্রেসিডেন্ট পদে দুটি মেয়াদের বেশি থাকার বিধান নেই৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদন: আবদুল্লাহ আল-ফারূক