1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কী ভাবে পরীক্ষা দিলেন আট লাখ ছাত্রছাত্রী

১ সেপ্টেম্বর ২০২০

করোনাকালে এত বড় পরীক্ষা ভারতে হয়নি। আট লাখ ছাত্রছাত্রী ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তির পরীক্ষায় বসলেন।

https://p.dw.com/p/3hqA4
প্রতীকী ছবিছবি: Imago/Hindustan Times

পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার লাইনেই ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হচ্ছিল ছাত্রছাত্রীদের। সকলের মুখে মাস্ক, অনেকের হাতে গ্লাভস। গেট দিয়ে ঢুকতেই প্রথমে হাতে দেয়া হচ্ছিল স্যানিটাইজার। তারপর হাতে ধরা অ্যাডমিট কার্ড, পেন্সিল, পেন-এর উপরেও স্প্রে করে দেয়া হল। একটু দূরে থার্মাল স্ক্যানার হাতে দাঁড়িয়ে একজন নিরাপত্তারক্ষী। তিনি পরীক্ষার্থীদের দেহের তাপমাত্রা দেখে নিচ্ছিলেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে একজন লম্বা লাঠির ডগায় লাগানো মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করছিলেন তাঁদের। করোনার মধ্যে পরীক্ষা, তাই এত কাণ্ডের পর ঢুকতে দেয়া হলো ছাত্রছাত্রীদের।

এখানেই শেষ নয়। ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে যেতে দেয়া হয়েছে একটা জলের বোতল ও স্যানিটাইজার। বসার আগে তাঁরা আসন ও লেখার জায়গা স্যানিটাইজ করে নিয়েছেন। অন্তত ছয় ফুট দূরে দূরে তাঁদের বসানো হয়েছে। এরপর একটি ফর্ম ভরতে দেওয়া হয় তাঁদের। হলফনামার মতো। সেখানে প্রত্যেক ছাত্রকে লিখে সই করে দিতে হয়েছে যে তাঁদের করোনা হয়নি।

ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশ এই সময় পরীক্ষা দিতে চাননি। তাঁরা অন্তত একমাস পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বলেছিলেন। কারণ, এখন ভারতে করোনা আক্রান্তের হার সব চেয়ে বেশি। প্রতিদিন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে পরীক্ষা দিতে গিয়ে তাঁদেরও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার জেদ ধরে বসে যে পরীক্ষা দিতেই হবে। বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেছিলেন। সেই আবেদনের ফয়সালা এখনও বাকি। তার মধ্যেই মঙ্গলবার ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা হয়। ডাক্তারির পরীক্ষা হবে কয়েকদিন পর।

মঙ্গলবার দুই ভাগে পরীক্ষা হয়েছে। প্রথম ভাগের পরীক্ষা হয়েছে সকাল নয়টা থেকে ১২টা পর্যন্ত। এরপর তিনটে থেকে আবার পরবর্তী ব্যাচের পরীক্ষা।  বারোটার পর পরীক্ষাকেন্দ্র স্যানিটাইজ করার কাজ শুরু হয়। মুম্বইয়ে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ লোকাল ট্রেন চালানো হয়েছে। ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তারপরেও অনেক ছাত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢোকার মুখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, এক মাস পিছিয়ে দিলে ভালো হতো।

জিএইচ/এসজি(এএনআই, এনডিটিভি)