1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কী বীভৎস এই স্বাভাবিকতা!'

১৮ নভেম্বর ২০১৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে হত্যার প্রতিবাদে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ৷ অন্যদিকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩টি দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির ঝুঁকি দেখছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস'৷

https://p.dw.com/p/1Dp5d
Symbolbild islamistischer Kämpfer
ছবি: Fotolia/Oleg Zabielin

ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডট কম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তের দায়িত্বে থাকা ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার গোয়েন্দারা হায়দ্রাবাদ থেকে মিয়ানমারের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে৷ খালিদ ওরফে খালিদ মোহাম্মদ নামের ওই যুবক ‘রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন'-এর সদস্য৷ এই সংগঠনটির সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে৷ ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, ২৮ বছর বয়সি খালিদ একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ৷ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় তার জঙ্গি ক্যাম্প রয়েছে৷

ঋষি বাগরি লিখেছেন, বাংলাদেশে যখন ইসলামি জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে তখন মমতাদি ধর্মনিরপেক্ষতার নামে চোখ বুজে রয়েছেন৷

পিংকি রাজপুরোহিত লিখেছেন, ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার গোয়েন্দারা হায়দ্রাবাদ থেকে মিয়ানমারের নাগরিক খালিদকে গ্রেপ্তার করেছে৷

স্মিতা প্রকাশ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়তে ভারত ও বাংলাদেশের কীভাবে একসাথে কাজ করা উচিত – এ নিয়ে বিষেশজ্ঞের একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার শেয়ার করেছেন৷

শহীদ সিদ্দিকীও এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছেন৷

রাজেশ আহুজা লিখেছেন, বর্ধমান বিস্ফোরণ: সন্দেহভাজন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় জঙ্গি ক্যাম্প চালাতো৷

ইন্ডিয়া টুডে খবরটি বড় করে প্রকাশ করেছে৷

বাংলাদেশের প্রধান ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার'-এ শিরোনাম হয়েছে সংবাদটি৷

এদিকে, বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৩টি দেশে সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধির ঝুঁকি দেখছে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ‘ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিস'৷ এ সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদনের সঙ্গে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ সূচক ২০১৪' অনুযায়ী, ২০১৩ সালে ৫ দশমিক ২৫ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ রয়েছে ১২৪টি দেশের তালিকার ২৩ নম্বরে৷

বাংলাদেশের প্রধান দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টার গুরুত্বের সাথে প্রকাশ করেছে খবরটি৷

এদিকে, রাজশাহীর অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে এখনো চলছে ক্লাস বর্জন৷ এ নিয়ে সরব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বখতিয়ার আহমেদ ফেসবুক পাতায় লিখেছেন,

‘‘খুনাখুনি যখন সমাজে আটপৌরে ব্যাপার হয়ে যায় তখন বিশ্ববিদ্যালয় কোন ‘সেফ হ্যাভেন' হয়ে থাকবে না৷ বারো বছরের চাকুরিতে রাবিতেই তিন শিক্ষক খুন হতে দেখলাম৷ শিক্ষার্থী খুন তো গুনতেও অনেক সময় লাগবে৷ খুনাখুনি এখন যুগের অসুখ৷ সমাজ এটা মেনে নিতে শিখছে৷ খুন এখন ক্রমশ: স্বাভাবিক হয়ে উঠছে....কাল সন্ধ্যায় রাবির শিক্ষক ক্লাবের নৈমিত্তিক ক্যারাম আর টেবিল টেনিসের খুটখাট শব্দ এখনও কানে বাজছে৷ কী বীভৎস এই স্বাভাবিকতা!!!''

তিনি লিখেছেন, ‘‘আমিও চেষ্টায় আছি স্বাভাবিক থাকতে৷ ভাবার চেষ্টা করছি মরলে মরবে আর কেউ, আমি না নিজেকে বোঝাচ্ছি লিলন ভাইকে তো জাস্ট চিনতাম৷ সহকর্মী মাত্র৷ বন্ধু বা আত্মীয় তো নয়৷ তারপরও চেনা মানুষ খুন হয়ে যাওয়ার মুখোমুখি হওয়া সহজ না৷ মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ার রিচুয়ালিস্টিক উপায়গুলোও চেষ্টা করলাম৷ ধর্মীয় রিচুয়াল জানাজায় অংশ নিলাম, সেকুলার রিচুয়াল শোক র‌্যালিতেও গেলাম৷ কাজ হচ্ছে না, কাজ করতে পারছি না, কর্মতন্দ্রায় যেতে পারছি না৷ মাথা কামিয়ে ফেলার পর মোটা ফ্রেমের চশমা পড়া লিলন ভাইকে খানিকটা মিশেল ফুকোর মতন দেখাত৷''

শিপন লিখেছেন, ‘‘আরো একটা খুব চেনা মুখ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম শফিউল ইসলাম লিলন খুন হলেন৷ শুধু প্রতিবাদ আর বিচার নয় তীব্র প্রতিরোধ হোক মতিহার জুড়ে৷''

সংকলন: অমৃতা পারভেজ

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান