কী ঘটেছে নয়াপল্টনে?
রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে৷ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরই মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি৷
শুরু যেভাবে
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বেলা পৌনে একটার দিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বড় একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা-৮ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম কিনতে এলে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তাঁর মিছিলের অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়৷ এই বিতণ্ডা থেকেই প্রথমে পুলিশের লাঠিচার্জ ও পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়৷ বিএনপি কর্মীরা পুলিশের দিকে ঢিল ছোড়েন৷
ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতা-কর্মীদের সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে, প্রথমে পুলিশ পিছু হটে যায়৷ পরে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে৷ এতে আহত হন বিএনপির বেশ কয়েকজন কর্মী৷
পুলিশের গাড়িতে আগুন
বিএনপি’র বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা পুলিশের একটি পিকআপসহ দুটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন৷ এ সময় গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে৷
পুলিশের অভিযোগ
পল্টন থানার ওসি মাহমুদ হোসেন ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘পার্টি অফিসের সামনে আসা নেতা-কর্মীরা সড়কে বিশৃঙ্খলভাবে অবস্থান করছিল৷ পুলিশ তাঁদের সুশৃঙ্খলভাবে থাকতে অনুরোধ করেছিল৷ কিন্তু তাঁরা বিনা উসকানিতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়৷’’
বিএনপি’র অভিযোগ
এদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে সরকার৷ আওয়ামী লীগ শোডাউন করল, এত কিছু করল, কিছু হলো না৷ আজ বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেন সরিয়ে দেওয়া হলো?’’
আওয়ামী লীগের অভিযোগ
এক সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করেছেন যে, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘বিএনপি নির্বাচন বানচাল করতে চায়৷ আজ পুলিশের ওপর সাঁড়াশি হামলা করে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়া নেতারা স্বরূপ প্রকাশ করেছেন৷’’
জেডএ/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম, প্রথম আলো)