1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

কিয়েভে রাশিয়ার লাগাতার বিমান হামলা

৩০ মে ২০২৩

ইউক্রেনের দাবি, অন্তত ৩৭টি মিসাইল তারা ধ্বংস করেছে। রাশিয়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের অভিযোগ এনেছে।

https://p.dw.com/p/4Rx0U
ইউক্রেন
ছবি: Vasilisa Stepanenko/AP/picture alliance

ইউক্রেন সেনাবাহিনীর প্রধান সোমবার জানিয়েছেন, এদিন সব মিলিয়ে অন্তত ৪০টি মিসাইল কিয়েভ লক্ষ্য করে ছুঁড়েছে রাশিয়া। এয়ার ডিফেন্স শিল্ডের সাহায্যে অন্তত ৩৭টি মিসাইলকে ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে অন্তত ৩৫টি ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। তার মধ্যে ২৯টি ড্রোন ধ্বংস করা সম্ভব হয়েছে। সোমবার রাতের দিকে কিয়েভে রাশিয়ার আক্রমণে কয়েকজন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে সংখ্যা স্পষ্ট নয়।

ইউক্রেনের অভিযোগ, গত শনিবার কিয়েভে সবচেয়ে বড় আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সেটিই ছিল কিয়েভ লক্ষ্য করে সবচেয়ে বড় হামলা। বস্তুত, যুদ্ধের গোড়ার দিকে রাশিয়া সেনা পাঠিয়ে মুখোমুখি লড়াইয়ের চেষ্টা চালিয়েছিল। সম্প্রতি তারা কৌশল বদলেছে। দূরপাল্লার মিসাইল, ড্রোন এবং বিমানের সাহায্যে হামলা চালানো হচ্ছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, শনিবারের পর সোমবারের আক্রমণ ছিল আরো ভয়াবহ।

শুধু কিয়েভ নয়, দনেৎস্ক এবং খেরসন অঞ্চলেও একইভাবে এদিন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। দনেৎস্ক এবং খেরসন দুই অঞ্চলেই বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ইউক্রেন জানিয়েছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, দনেৎস্কে প্রতিদিন বেসামরিক কাঠামো লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পাল্টা অভিযোগ

এদিকে রাশিয়া পাল্টা অভিযোগ করেছে, সীমান্ত অঞ্চলে বর্ডার পেরিয়ে ইউক্রেনের সেনা রাশিয়ার গ্রামে ঢুকে আক্রমণ চালিয়েছে। ওই ঘটনাতেও বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। কিছু অঞ্চল ইউক্রেন দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ। ইউক্রেন অবশ্য এই অভিযোগ সমর্থন করেনি। তাদের দাবি, ওই অঞ্চলে দুইটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কাজ করছে, এ তাদেরই কাজ। বস্তুত, দুইটি বিচ্ছিন্নতবাদী গোষ্ঠীই আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে। কিন্তু ওই দুই গোষ্ঠীর যোদ্ধারা সরাসরি ইউক্রেনের সেনার সঙ্গে লড়ছে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার ইঙ্গিত তেমনই।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)