1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিয়েভে কোনো ভারতীয় নেই, বন্ধ দূতাবাস: শ্রিংলা

২ মার্চ ২০২২

কিয়েভ ছেড়ে সব ভারতীয় চলে গেছেন। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দূতাবাসও। দাবি পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার।

https://p.dw.com/p/47r63
ইউক্রেন ছেড়ে পোল্যান্ডে যাওয়ার পথে ভারত ও দেশের ছাত্রীরা। ছবি: WOJTEK RADWANSKI/AFP/Getty Images

কিয়েভ দখল করতে রাশিয়া এবার চূড়ান্ত আঘাত হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে সব ভারতীয় কিয়েভ ছেড়েছেন বলে জানালেন পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। তিনি বলেছেন, ''আমরা খোঁজ করে জেনেছি, যে ভারতীয়রা ছিলেন, তারা সকলে কিয়েভ ছেড়ে চলে গেছেন।''

শ্রিংলা জানিয়েছেন, ''কিয়েভে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সব কর্মীকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।''

পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, ''৮ মার্চ পর্যন্ত ভারত মোট ৪৬টি বিমান চালাবে। তার মধ্যে ২৯টি বিমান বুখারেস্ট থেকে, ১০টি বুদাপেস্ট থেকে, ছয়টি পোল্যান্ড থেকে এবং একটি স্লোভাকিয়া থেকে চালানো হবে। এছাড়া বিমানবাহিনীর একটি বিমান বুখারেস্ট থেকে আটক ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরবে।''

রশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার আগে ২০ হাজারের মতো ভারতীয় ইউক্রেনে ছিলেন। এখন তার মধ্যে ১২ হাজার ভারতীয় ইউক্রেন ছেড়েছেন। এখনো খারকিভ এবং অন্য জায়গায় ভারতীয়রা আছেন। তাদের পশ্চিম সীমান্তে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে শ্রিংলা জানিয়েছেন। এই পশ্চিম সীমান্তে কোনো গোলমাল নেই বলে তার দাবি।

গত দুই দিন ধরে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর বিষয়ে সরকার বিশেষভাবে উদ্যোগীহয়েছে। তার আগে ছাত্রছাত্রীরা সামাজিক মাধ্যম ভরিয়ে দিয়েছিলেন তাদের দুরবস্থা নিয়ে পোস্ট করে। এরপরই সরকার নড়েচড়ে বসে। গত দুই দিনে প্রধানমন্ত্রী চারটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন। এয়ার ইন্ডিয়া, স্পাইসজেট, ইন্ডিগোর বিমানে করে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হচ্ছে। এমনকী, বিমানবাহিনীর বিমানও কাজে লাগানো হচ্ছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রিংলা রাশিয়া ও ইউক্রেনের রষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তাদের শ্রিংলা জানিয়েছেন, খারকিভ ও অন্য এলাকায় যে ভারতীয়রা আছেন, তারা যাতে নিরাপদে সীমান্তে পৌঁছাতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। দুই রাষ্ট্রদূতই সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

জিএইচ/এসজি ( হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সাংবাদিক সম্মেলন)