1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কিরঘিজস্তানে তুমুল বিক্ষোভে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত, জরুরি অবস্থা জারি

৭ এপ্রিল ২০১০

বিরোধীদলের দশজন শীর্ষ রাজনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আলমাজবেক আতামবায়েকও রয়েছেন৷ বিরোধীদল বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে৷

https://p.dw.com/p/MpCl
কিরঘিজস্তানের তালাস শহরে পুলিশের ঘিরে রাখা একটি সরকারী ভবনের সামনে বিক্ষোভকারীরাছবি: AP

বার্তা সংস্থা ডিপিএ এবং ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, কিরঘিজস্তানে তুমুল বিক্ষোভ চলাকালে বুধবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মলডোমুসা কংগানতিয়েভ নিহত হয়েছেন৷ কিরঘিজস্তানে পুলিশ এবং বিরোধীদলের প্রতিবাদকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে৷ দাঙ্গা পুলিশ এবং সরকার বিরোধী বিক্ষোভে এই পর্যন্ত ১৭ জনের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে৷ আহত হয়েছে শতাধিক৷ প্রধানমন্ত্রী দানিয়ার উসেনভ রাজধানী বিশকেক সহ চারটি শহরে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন৷ বিরোধী প্রতিবাদকারীরা বুধবার কিরঘিজস্তানে টেলিভিশন কেন্দ্রে অতর্কিতে প্রবেশ করে সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ রাখতে বাধ্য করে৷

রাজধানী বিশকেকের প্রধান সরকারি ভবনটিতে বিক্ষোভকারীরা অতর্কিতে ঢুকে পরার পরই হতাহতের ঘটনা ঘটে৷ বিক্ষোভকারীরা কর্তৃত্ববাদী প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভের পদত্যাগ দাবি করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএ-কে জানিয়েছে৷

বিরোধীদলের দশজন শীর্ষ রাজনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ তাঁদের মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আলমাজবেক আতামবায়াকও রয়েছেন৷ বিরোধীদল বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইড়ে চলে গেছে এবং এখন জনতাকে পরিচালনা করাও সম্ভব নয়৷ বিরোধীদলের বাদবাকি নেতারা ইতোমধ্যেই আত্মগোপন করেছেন৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারী বিশকেক পুলিশের কাছ থেকে মেশিনগান ছিনিয়ে নিয়েছে৷ এরপর পুলিশ দ্বিতীয় দিনের মত বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কাঁদানে গ্যাস ব্যাবহার করে৷ অব্যাহত বিক্ষোভ এই ইঙ্গিতই দিচ্ছে যে, জনমত প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে৷ এর আগে কিরঘিজস্তানের আরেক শহরে তালাসেও একই ধরনের বিক্ষোভে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন৷ রুশ সংবাদ সংস্থাগুলোর খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তালাস শহরের আঞ্চলিক সরকারি সদর দপ্তরগুলোর নিয়ন্ত্রণ হাতে তুলে নিয়েছে এবং এইসব ভবনগুলোর অন্তত একটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে৷

প্রধানমন্ত্রী উসেনভ জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের হামলার পর, আঞ্চলিক গভর্ণরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে৷ কিরঘিজস্তানের নারিন শহরেও হাজার হাজার বিক্ষোভকারী সমবেত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে৷ সারা দেশের দোকান মালিকরা আরো সহিংসতার আশঙ্কায় তাঁদের দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন৷

মার্কিন এবং রুশ দূতাবাস থেকে ইস্যু করা বিবৃতিতে সংঘর্ষের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে শান্তির আহ্বান জানানো হয়েছে৷ বিশকেকের মার্কিন দূতাবাস তালাসে বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ''সরকারপক্ষ এবং প্রতিবাদকারী সবাইকেই আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো এবং শান্তিপূর্ণ ও বৈধ উপায়ে মতপার্থক্য দুর করার জন্যে আহ্বান জানাচ্ছি ৷''

কিরঘিজস্তানের বার্তা সংস্থা আকিপ্রেস বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, মঙ্গলবারের সংঘাতে নিরাপত্তা বাহিনীর কমপক্ষে ৮৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন৷ তালাস শহরে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হবারও খবর দিয়েছে তারা৷

প্রতিবেদক : ফাহমিদা সুলতানা

সম্পাদনা : দেবারতি গুহ