1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কিম জং উন বহাল তবিয়তেই আছেন’

২৭ এপ্রিল ২০২০

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন-এর স্বাস্থ্য ঘিরে সাম্প্রতিক জল্পনাকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা৷ তাঁদের মতে, কিম বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন৷ তবে সংশয় পুরোপুরি কাটছে না৷

https://p.dw.com/p/3bSIH
ছবি: Getty Images/AFP/J. Yeon-Je

দেশের ‘ঈশ্বরপ্রতিম' নেতা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ও প্রকাশ্যে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে কার্যত উধাও হয়ে গেলে প্রশ্ন জাগে বৈকি৷ উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত ১১ই এপ্রিল থেকে এমন বেপাত্তা হয়ে পড়ায় নানারকম গুজব শোনা যাচ্ছে৷ এমনকি পিতামহ ও উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুং-এর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা যায়নি৷ একটি তত্ত্ব অনুযায়ী হৃদযন্ত্রের জটিল অপারেশনের পর তিনি মৃতপ্রায়৷ কেউ বলছেন, করোনা ভাইরাসের ভয়ে তিনি নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন৷

এমন সব জল্পনাকল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা৷ দুই কোরিয়ার পুনরেকত্রীকরণের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী কিম ইএয়ন চুল রবিবার এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ভেতরে কী ঘটছে, তা জানার জন্য সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে৷ তাই তিনি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারেন যে, সে দেশে অস্বাভাবিক কোনো প্রবণতা চোখে পড়ছে না৷ উত্তর কোরিয়ার নেতাকে ঘিরে সব তত্ত্বও উড়িয়ে দেন তিনি৷ যে হাসপাতালে কিম জং উনের অপারেশন হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেখানে হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের কোনো ব্যবস্থাই নেই বলে কিম ইএয়ন চুল উল্লেখ করেন৷

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টা মুন চাং ইন বলেন, এই প্রশ্নে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট৷ তিনি বলেন, ‘‘কিম জং উন জীবিত এবং বহাল তবিয়তেই আছেন৷'' তাঁর মতে, গত ১৩ই এপ্রিল থেকে কিম ওনসান এলাকায় রয়েছেন৷ কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ চোখে পড়েনি৷ উল্লেখ্য, ওয়াশিংটন-ভিত্তিক এক সূত্রের দাবি, স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে সম্ভবত কিমের নিজস্ব একটি ট্রেন সেখানে দেখা যাচ্ছে৷

দক্ষিণ কোরিয়ার সংসদের পররাষ্ট্র ও পুনরেকত্রীকরণ কমিটির সভাপতি ইয়ুন সাং হিউন অবশ্য মনে করেন, প্রকাশ্যে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে দেখা না যাবার অর্থ, তিনি মোটেই স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করছেন না৷ তিনি সম্ভবত অসুস্থ অথবা করোনা ভাইরাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন৷ গত সপ্তাহে চীন থেকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের একটি দল উত্তর কোরিয়া যাওয়ায় এই সম্ভাবনা আরো জোরালো হয়েছে৷ অতিরিক্ত ধূমপান, ক্লান্তি ও স্থূলতার কারণে কিম-এর জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে কিম জং উন-কে সম্প্রতি সরাসরি দেখা না গেলেও পরোক্ষভাবে তাঁর উল্লেখ করা হয়েছে৷ ওনসান কালমা উপকূলে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য মহান নেতা শ্রমিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে৷

২০১৪ সালেও কিম জং উন প্রায় ছয় সপ্তাহের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিলেন৷ সে সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করেছিল যে, গোড়ালি থেকে সিস্ট দূর করতে তাঁর একটি অপারেশন হয়েছিল৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)