1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজকিউবা

কিউবায় পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগ

১৭ আগস্ট ২০২২

ফিদেল কাস্ত্রোর ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর এই প্রথম পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি কিউবার।

https://p.dw.com/p/4Fd6Z
হাভানার একটি পাইকারি বাজারে ঢোকার জন্য মানুষের লাইন।
হাভানার একটি পাইকারি বাজারে ঢোকার জন্য মানুষের লাইন। ছবি: Ismael Francisco/AP Photo/picture alliance

দেশে জিনিসপত্রের সংকট কাটাতে এবার পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দিচ্ছে কিউবা। অর্থমন্ত্রী আলেহান্দ্রো গিল মঙ্গলবার টুইট করে বলেছেন, সরকারি নিয়ন্ত্রণে পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া হবে। দেশের শিল্পকে চাঙ্গা করতে এবং মানুষের কাছে জিনিস পৌঁছে দিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যানা গঞ্জালভেস ফ্রাগা বলেছেন, ফিদেল কাস্ত্রোর ১৯৫৯ সালের বিপ্লবের পর এই প্রথম এই ধরনের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। দেশের খুচরো ব্যবসায়ীরা পাবলিক-প্রাইভেট উদ্যোগে যেতে পারবেন।

এর আগে কিউবায় পরিষেবা ও ঘরোয়া উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

ক্ষোভ বাড়ছিল

এতদিন পর্যন্ত পাইকারি ও খুচরো ব্যবসার রাশ কমিউনিস্ট সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু সম্প্রতি মানুষের জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন খাবার, ওষুধ, জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছিল। গত বছর মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতির মুখেও পড়ে কিউবা।

কিউবার অর্থনীতিবিদ মওরিসিও মিরান্দা পাররোন্দো বলেছেন, পাইকারি ও খুচরো ব্যবসার উপরে রাষ্ট্রের মনোপলির কারণেই আজ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের সংকট দেখা দিয়েছে।

কমিউনিস্ট কিউবায় সংস্কার

কঠিন আর্থিক পরিস্তিতিতে পড়েই কিউবার সরকার বাধ্য হয়ে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গত অগাস্টে তারা ছোট ও মাঝারি সংস্থাকে কিউবা থেকে কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। তার আগে তারা বেসরকারি সংস্থাকে প্রথমবার অনুমোদন দেয়। তবে তা ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি শিল্পের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ ছিল, ব্যবসার অনুমতি ছিল না।

যে কিউবার অর্থনীতিতে এতদিন সরকারি সংস্থার মনোপলি ছিল, সেখানে পরিস্থিতি ক্রমশ বদলাচ্ছে।

কিউবা এখন গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছে। প্রথমে ট্রাম্পের আমলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং তারপর করোনার কারণে কিউবার অবস্থা খারাপ হয়েছে। তাদের পর্যটন শিল্প মার খেয়েছে।

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)