কায়রোর তাহরির চত্বরে গুলির শব্দ
৫ ফেব্রুয়ারি ২০১১তাহরির চত্বরে গুলির শব্দ
শনিবার ভোর রাতে কায়রোর তাহরির চত্বরে ভারি গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা গেছে৷ সেখানে প্রায় ১০ হাজার মুবারক বিরোধী বিক্ষোভকারী রাত কাটাচ্ছেন৷ একাধিক বার্তা সংস্থা, এই খবর প্রকাশ করলেও গোলাগুলির ফলে হতাহতের কোন তথ্য এখনো জানাতে পারেনি৷ এমনকি কারা গুলি ছুঁড়ছে তাও জানা যায়নি৷
‘বিদায় দিবস'
সরকার বিরোধী আন্দোলনের ১১তম দিনে ‘বিদায় দিবস' পালন করা হলেও বিদায় নেননি হোসনি মুবারক৷ তবে যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি টেলিভিশনকে তিনি জানিয়েছেন, আমি যেতে চাই৷ কিন্তু আজ আমি পদত্যাগ করলে অরাজকতা ছড়িয়ে পড়বে৷ শুক্রবার কায়রোর তাহরির চত্বর ঘিরে জমা হয় লক্ষাধিক মুবারক বিরোধী বিক্ষোভকারী৷ ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা মিশরের শক্তিশালী এই রাষ্ট্রপ্রধানকে এক্ষুণি ক্ষমতা ছাড়ার আহ্বান জানায় বিক্ষোভকারীরা৷ যাও, যাও, যাও শ্লোগানে মুখরিত ছিল কায়রোর কেন্দ্রীয় চত্বর৷ বিক্ষোভকারীরা প্রার্থনা করেছেন, দেশাত্মবোধক গান গেয়েছেন এবং মিশরের পতাকা উড়িয়েছেন৷ শুধু কায়রো নয়, আলেকজান্দ্রিয়া, সুয়েজ, রাফাসহ বিভিন্ন শহরেও সরকার বিরোধী আন্দোলন চলেছে শুক্রবার৷
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই আন্দোলনে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা তিনশ'র বেশি৷ আহত কমপক্ষে ৪ হাজার৷
পশ্চিমা বিশ্বের মন্তব্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আবারো মিশরে ক্ষমতার পালাবদলের প্রক্রিয়া এখনই শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন৷ সেইসঙ্গে তিনি মুবারককে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ কিন্তু তাঁকে এখনই পদত্যাগের কোন ইঙ্গিত দেননি মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান৷ জার্মানিতে নিযুক্ত মিশরের রাষ্টদূতকে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ লিপি হস্তান্তর করেছে জার্মান সরকার৷ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারী ও বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে সহিংস আচরণের প্রতিবাদ করেছে বার্লিন সরকার৷ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র এই বিষয়ে জানান, জার্মান নাগরিক এবং বিদেশি সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রহণযোগ্য নয়৷
ব্রাসেলসে বৈঠকে অংশ নেওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা এক যৌথ বিবৃতিতে মিশরে দ্রুত ক্ষমতার পালাবদলের আহ্বান জানিয়েছেন৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী