1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাসাবের সাজা ফাঁসি

৬ মে ২০১০

সাজা ঘোষণার সময় বিশেষ আদালতের বিচারপতি এম এল তাহলিয়ানি বলেন, আজমল কাসাব যে পাশবিকতার পরিচয় দিয়েছে, তাতে সে মানবিক সুবিধা পেতে পারেনা৷ কাসাব সংশোধনের বাইরে৷ কাজেই ফাঁসিই তাঁর প্রাপ্য৷

https://p.dw.com/p/NG1h
বৃহস্পতিবার শুনানির সময় আজমল কাসাবছবি: AP

লস্কর-ই-তৈয়বা জঙ্গি গোষ্ঠীতে কাসাব যোগ দিয়েছিল স্বেচ্ছায়৷ কাসাবকে চরম শাস্তি না দিলে ভারতের মানুষ আদালতের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলতো৷ সাজা ঘোষণার সময় কাসাবের মুখ ছিল ভাবলেশহীন৷ কুর্তা-পাজামা পরে বসে ছিল সে বিশেষ কাঠগোড়ায় মুখ নীচু করে৷ মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে জল খেতে চাইলে, তাকে জল খাওয়াতে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ফিরে আসে সে ছলো ছলো চোখে৷

কাসাবের ফাঁসির আদেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা মন্তব্য করেন. এই রায়ের পর আমরা পাকিস্তানের মতিগতির দিকে লক্ষ্য রাখবো৷ মুম্বই হামলায় কাসাবের আরো ২০জন সহ-আসামীকে ভারতের হাতে তুলে দেবার জন্য পাকিস্তানের কাছে অনুরোধ জানানো হবে৷

ভারতের আমজনতা বিশেষ করে হতাহতদের আত্মীয় পরিজনএই শাস্তির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ তারা চায়, এর মধ্যে যেন রাজনীতি বা কূটনীতি ছায়া না ফেলে৷ ফাঁসি যেন কার্যকর হয়৷

মুম্বই পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার হিমাংশু রায় এই সাজাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ভারতের গণতন্ত্রের পক্ষে এ হল গুরুত্বপূর্ণ এক বিচার৷

তবে কাসাবের ফাঁসি অবিলম্বে কার্যকর হবেনা৷ কাসাব হাইকোর্টে, পরে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করতে পারে৷ সবশেষে ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে সে মার্জনা ভিক্ষা চাইতে পারে৷

প্রতিবেদন : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি

সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ আল-ফারূক