কাশ্মীরে ফের কারফিউ সংঘর্ষ মিছিল
২৭ অক্টোবর ২০১০বুধবর সকাল থেকে কাশ্মীর উপত্যকায় কারফিউ বলবৎ করা হয় যাতে মধ্যপন্থী হুরিয়াত নেতা মীরওয়াইজ ফারুকের নেতৃত্বে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শ্রীনগরে জাতিসঙ্ঘের পর্যবেক্ষক অফিসের দিকে মিছিল করে যেতে না পারে৷ বান্দিপুরা শহরে আন্দোলনকারী কিছু যুবক কারফিউ অমান্য করে পুলিশের ওপর পাথর বৃষ্টি শুরু করলে পুলিশ প্রথমে লাঠি চার্জ করে পরে কাঁদানে গ্যাস এবং কম মারাত্মক পাম্প অ্যাকশন বন্দুক থেকে গুলি ছোঁড়ে৷ আহত হয় ৮জন৷এদের মধ্যে তিনজন পুলিশ৷
রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসন জম্মু-কাশ্মীরের ইতিহাসে আজকের দিনটির গুরুত্ব মাথায় রেখে অনেক বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখে এবং কট্টর হুরিয়াত সমর্থকদের নিবর্তনমূলক আইনে আটক করে৷ উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন রাজা হরি সিং ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবার চুক্তিতে সই করার পরের দিন ২৭শে অক্টোবর পাকিস্তানি সেনার সাহায্যপুষ্ট উপজাতিদের হামলা প্রতিহত করতে ভারতীয় সেনা কাশ্মীরে প্রবেশ করে৷ উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এই দিনটিকে কালো দিবস হিসেবে পালন করছে৷ ডাক দিয়েছে হরতালের৷ দোকানপাট এবং বেসরকারি অফিস তাই বন্ধ৷পাশাপাশি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জম্মুর প্যান্থার্স পার্টি এই দিনটির স্মরণে বিনা বিচারে আটক সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেবার দাবি জানিয়েছে৷ বলেছে, ১৫ই অগাস্ট যেমন অবশিষ্ট ভারতের কাছে এক ঐতিহাসিক দিন, তেমনি ২৭শে অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের কাছে এক স্মরণীয় দিন৷
এদিকে কাশ্মীর শান্তি মিশনের মধ্যস্থতাকারী দলের নেতা সাংবাদিক দিলীপ পাডগাওকার আজ কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে আজাদি বলতে তাঁদের কী ধারণা সে সম্পর্কে এক রোডম্যাপ তৈরি করতে বলেন, যা হবে বাস্তবোচিত এবং যা নিয়ে অনুপুঙ্খ আলোচনা করা যেতে পারে৷ দরকার হলে ভারতের সংবিধান সংশোধনের কথাও উড়িয়ে দেননি তিনি৷ ছাত্ররা বিশ্বাসের ঘাটতি দূর করতে তিনদফা প্রস্তাব রাখে৷ কালা কানুন রদ, সেনা প্রত্যাহার এবং আটক ছাত্র ও পাথর ছোঁড়া যুবকদের মুক্তি৷
অন্যদিকে কাশ্মীর সম্পর্কে বিশিষ্ট লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের বিতর্কিত মন্তব্যকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ কংগ্রেস, সংযুক্ত জনতা দল ও সুশীল সমাজের একটা বড় অংশ৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক