1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীরে পুলিশের গুলিতে নিহত ৬

৮ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা‘ কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ১৪৪ ধারা ভেঙে মিছিলের সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন৷ আহত হয়েছেন শতাধিক।

https://p.dw.com/p/3NYQH
Indien Gesperrte Straße in Jammu
ছবি: Reuters/M. Gupta

বুধবার এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের জিও টিভি অনলাইন৷ তারা আরো জানিয়েছে, কাশ্মীরজুড়ে গণগ্রেপ্তার চলছে৷

বার্তাসংস্থা এএফপিকে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ঝিলাম নদীতে ঝাঁপ দেন এক তরুণ। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

শ্রীনগর, পুলওয়ামা, বারমুল্লাসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নামে৷ তাঁদের ঠেকাতে গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুঁড়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী৷

কাশ্মীরে অচলাবস্থা এখনও কাটেনি৷ বন্ধ রয়েছে সবধরণের যোগাযোগ৷  প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শহর ও গ্রামগুলোর আশপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেখা গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় গোটা কাশ্মীরে টিভি, ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে৷

রয়টার্স ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় শোকে বিহ্বল হয়ে পড়েছে কাশ্মীরের অগুণতি মানুষ৷  এই মুহূর্তে কাশ্মীরকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থান' হিসেবে অভিহিত করেছে নিউইয়র্ক টাইমস৷

জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের আরোপিত বিধি নিষেধে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘ৷ সংস্থাটির মুখপাত্র এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত কাশ্মীরের ‘‘মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাবে৷'' বুধবার ট্যুইটারে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানায় বিশ্ব সংস্থাটি৷

ভিডিও বার্তায় কাশ্মীরে টেলিযোগাযোগ বন্ধ, নেতাদের নির্বিচারে আটক ও সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞায় আপত্তির বিষয়টি জোরের সঙ্গে তুলে ধরা হয়৷

জাতিসংঘ মুখপাত্র বলেন, এবারের বিধিনিষেধ আগে যা ছিল তার চেয়েও তীব্র৷ জম্মু-কাশ্মীরের চলমান পরিস্থিতি আগামীতে এ অঞ্চলের জনগণকে গণতান্ত্রিক আলোচনা থেকে বিরত রাখতে পারে বলেও সংশয় প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ৷

পাক-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন?

পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনারকে বহিষ্কার করেছে ইসলামাবাদ৷ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে, ভারতের নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনারকে৷ স্থগিত করা হয়েছে ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সব বাণিজ্য৷

বুধবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃতত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠক থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরোধিতার অংশ হিসেবে পাকিস্তানের সব ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ওই বৈঠকের পর পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি বলেছেন,  ‘‘আমাদের রাষ্ট্রদূতকে নয়াদিল্লি ছেড়ে চলে আসতে বলেছি৷ ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকদের আমরা ফেরত পাঠাবো।''

ইমরান খানের ‘যুদ্ধ ঘোষণা'

পাক প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের ‘বিশেষ মর্যাদা' ছিনিয়ে নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বানিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এর মাধ্যমে জাতিগত নিধন হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আর তাই কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন ইমরান খান। এই ইস্যুটি আন্তর্জাতিক সব ফোরামে আলোচনায় নিয়ে আসবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি৷ কথা বলবেন জাতিসংঘসহ বিশ্বের সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সঙ্গে৷ বুধবার বিবিসি এ খবরটি প্রকাশ করে৷

ইমরান বলেন, ‘‘আমার ভয়, কাশ্মীরে জাতিগত নিধন শুরু করবে ভারত। স্থানীয়দের বিতাড়িত করে বাইরে থেকে অন্যদের নিয়ে আসবে৷ বহিরাগতরা হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ৷ এভাবে স্থানীয়রা এক পর্যায়ে দাসে পরিণত হবে৷''

টিএম/কেএম (বিবিসি, এএফপি, জিও টিভি, ডন, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য