1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তেজিত পাকিস্তান, চীন

৭ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিলের মোদী সরকারের সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে পাকিস্তান এবং চীন৷ তবে, পশ্চিমা সমাজ এই ইস্যুতে মুখে কুলুপ এঁটে আছে৷

https://p.dw.com/p/3NVOz
Indien Kaschmir-Konflikt nach Änderung Artikel 370
ছবি: AFP/R. Bakshi

ভারত-নিয়ন্ত্রিতকাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা' বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নতুন দিল্লি নিয়েছে তার কড়া সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এক ‘‘বর্ণবাদী মতাদর্শ'' অনুসরণ করে উল্লেখ করে মঙ্গলবার তিনি সংসদে বলেন, ‘‘এই মতাদর্শ তুলে ধরতে তারা নিজেদের এবং আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে৷''

মোদী সরকার ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের এই সিদ্ধান্তকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে চ্যালেঞ্জ করারও অঙ্গীকার করেছেন খান৷ পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তাও চেয়েছেন তিনি৷ প্রয়োজনে বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও তুলতে চান ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদের রূপ নেয়া পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী৷ 

তিনি বলেন, ‘‘আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে এই বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদসহ সব ফোরামে লড়াই করবো আমরা৷'' 

Karte Grenzgebiete Kaschmir EN

এদিকে, চীনও কাশ্মীর ইস্যুতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে৷ চীন এবং ভারতের মধ্যকার হিমালয় সীমান্তের বেশ কিছু এলাকা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিরোধ রয়েছে৷ এরমধ্যে লাদাখ রয়েছে৷ চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইয়াং এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিমাঞ্চলের যে অংশকে বেইজিং নিজেদের এলাকা মনে করে, সেই অংশ ভারত নিজেদের অধিভুক্ত করায় আপত্তি জানাচ্ছে চীন৷

তিনি বলেন, ‘‘নিজেদের অভ্যন্তরীণ আইন বাতিলের ভারতের একতরফা সিদ্ধান্ত চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করছে৷ এটা গ্রহণযোগ্য নয়৷''

তবে, লাদাখের বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় আখ্যা দিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবিশ কুমার মঙ্গলবার বলেন, ‘‘ভারত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে যেমন মন্তব্য করে না, তেমনি অন্যদের কাছ থেকেও সেটাই আশা করে৷''

প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়া বিশ্লেষকেরা মনে করেন, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান এবং চীন ভারতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও পশ্চিমা সমাজ এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেই থাকবে৷ অতীতেও পাকিস্তান এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞ শাহজেব জিলানি বলেন, ‘‘ভারতের শক্তি এবং অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে পশ্চিমারা কাশ্মীরের প্রতি দেশটির আচরণ নিয়ে তেমন একটা কথা বলতে চায় না৷''

উল্লেখ্য, ১৯৪৮ সালে দেশভাগের সময় থেকেই কাশ্মীর ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যকার এক অমীমাংসিত ইস্যু হিসেবে রয়ে গেছে৷ ‘ভূ-স্বর্গ' খ্যাত এই অঞ্চল নিয়ে অতীতে একাধিকবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে এই দুই প্রতিবেশি রাষ্ট্র৷ এই ইস্যুতে মোদী সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে সংঘাত বাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

এআই/কেএম (রয়টার্স, এএফপি)