1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

শফিক রেহমানের মুক্তি দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১০ আগস্ট ২০১৬

আটক সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি দাবি করেছে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের জন্য কাজ করা ২৬টি আন্তর্জাতিক সংগঠনের জোট ‘রেপ্রিভ'৷ আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের কাছে তারা রেহমানের মুক্তির জন্য আবেদন পাঠিয়েছে ইতিমধ্যেই৷

https://p.dw.com/p/1JfIs
ফাইল ফটো
ছবি: picture-alliance/dpa

রেপ্রিভ-এর চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তিন মাসেরও বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও শফিক রেহমানের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি৷

রেপ্রিভ ‘ইনডেক্স অন সেন্সরশিপ', ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স', ‘ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টস' এবং ‘পেন অ্যামেরিকা'সহ ২৬টি সংগঠনের একটি আন্তর্জাতিক জোট৷

তাদের করা আবেদনে বলা হয়েছে, ‘শফিক রেহমানকে আটকের পর এক সপ্তাহ আলাদা সেলে রাখা হয়েছিল৷ সেখানে তাঁকে ঘুমানোর বিছানাও দেয়া হয়নি৷' তারা সাংবাদিক শফিক রেহমানকে মুক্তি দেয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে আইনমন্ত্রীর মাধ্যমে আবেদনটি জমা দিয়েছেন৷

রেপ্রিভ-এর চিঠিতে আরো বলা হয়, ‘শফিক রেহমান একজন পেশাদার সাংবাদিক৷ তিনি তাঁর সারা জীবন বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কাজ করেছেন৷ তাঁকে আটকের ঘটনা সংবাদমাধ্যম ও বাকস্বাধীনতার প্রতি হুমকি বলে আমরা মনে করি৷'

বলা বাহুল্য, তিনি একজন বয়স্ক ব্যক্তি৷ তাই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে রেহমানের পরিবার খুবই উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে৷

ওদিকে লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার নাদিম কাদির সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বাংলাদেশে বাক ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি৷ তাছাড়া শফিক রেহমান প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা পরিকল্পনা মামলায় আটক আছেন৷ তাই পুলিশের তদন্ত করতে সময় লাগতে পারে৷ আর সেটাই তো স্বাভাবিক৷''

গত ১৬ই এপ্রিল পুলিশ শফিক রেহমানকে তাঁর ঢাকার ইস্কাটনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে৷ পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ ও হত্যা-চেষ্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷

জয়নাল আবেদীন মেসবাহ

শফিক রেহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন মেসবাহ ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘এই মামলায় পুলিশ এখনো কোনো তদন্ত প্রতিবেদন বা চার্জশিট দেয়নি৷ অর্থাৎ তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এখনো আনা হয়নি৷ আর তাই তিনি জামিনও পাচ্ছেন না৷ কারাগারে তিনি দুঃসহ জীবনযাপন করছেন৷ ৮২ বছর বয়সে এই কারাবাস তাঁর জন্য অনেক কষ্টের৷ তিনি নানা রোগে ভুগছেন৷''

তিনি জানান, ‘‘শফিক রেহমানকে জামিন দেয়নি নিম্ন আদালত৷ তারপর হাইকোর্টও তাঁর জামিন আবেদন নাকোচ করে৷ তবে গত ১৭ই জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে একটি চার সদস্যের বেঞ্চ শফিক রেহমানকে উচ্চ আদালতে আপিলের অনুমতি দেয়৷ তাঁর জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেয়া হয়৷''

বন্ধু, আপনি কী মনে করেন? শফিক রেহমানকে কি ছেড়ে দেওয়া উচিত? লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য