1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কামরুন্নাহার মামলা পরিচালনার উপযুক্ত নন: আদালত

২৫ নভেম্বর ২০২১

ধর্ষণ মামলার আসামিকে মামলার সকল নথি পাশ কাটিয়ে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার৷ তিনি কোনো ধরনের ফৌজদারি বিষয় পরিচালনার ‘উপযুক্ত নন' বলে রায় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত৷

https://p.dw.com/p/43Rlx
Bangladesch | Richterin | Mosammat Kamrunnahar
ছবি: bdnews24.com

ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বলেছে, মামলার সকল নথি পাশ কাটিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন কামরুন্নাহার, যা ‘অসৎ উদ্দেশ্যের ইংগিত' করে৷

গত ২২ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন৷ বুধবার রাতে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ছয় পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়৷

সম্প্রতি রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামির সবাইকে খালাসের রায়ে ঢাকার সপ্তম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কামরুন্নাহারের এখতিয়ারবহির্ভূত পর্যবেক্ষণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছে৷

কামরুন্নাহার মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে ঘটনার  ৭২ ঘণ্টা পর পুলিশ যেন মামলা না নেয় তবে লিখিত রায়ে সে বিষয়টি তিনি রাখেননি৷   

গত ১৪ নভেম্বর কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতাসাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে তাকে আর আদালতে না বসার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি৷ তাকে পাঠানো হয়েছিল আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে৷ সেখানে জানা যায়, স্থগিতাদেশ থাকার পরও হাতিরঝিল থানার ২০১৮ সালের এক ধর্ষণের মামলায় আসলাম শিকদার নামের এক আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন বিচারক কামরুন্নাহার৷  কোন এখতিয়ার বা ক্ষমতাবলে ওই আসামিকে তিনি জামিন দিয়েছিলেন, সে ব্যাখ্যাও জানতে চাওয়া হয়েছিল তার কাছে৷

ওই মামলার রায়ে গত বছরের ১৪ অক্টোবর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামছুন্নাহার আসামি আসলাম শিকদারকে খালাস দেন৷ সে রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্ট আপিলও করে রাষ্ট্রপক্ষ৷

এতদিন পর কামরুন্নাহারের বিষয়টি আপিল বিভাগে উঠলে ২২ নভেম্বর তিনি সর্বোচ্চ আদালতে সামনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন৷ সেখানে তিনি বলেন, আসলাম শিকদারের জামিন যে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত স্থগিত করেছে, তা তিনি জানতেন না৷  কিন্তু জামিন শুনানির সময় নথিতে অন্যসব কাগজপত্রের সঙ্গে চেম্বার আদালতের ওই আদেশের অনুলিপিও ছিল এবং তার আগের বিচারক পাঁচবার আসলামের জামিন আবেদন নাকচ করেছিলেন- এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে কামরুন্নাহার বলেন, তিনি আগের নথি দেখেননি, যা তার ভুল হয়েছে৷

আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে পুরনো নথি না দেখার বিষয়টি কামরুন্নাহারের ‘অসৎ উদ্দেশ্যের' ইংগিত করে৷

সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তে বলা হয়, আসলাম শিকদারকে জামিন দেওয়ার মাধ্যমে মোছা. কামরুন্নাহার আপিল বিভাগের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন এবং তিনি  কোনো ধরনের ফৌজদারি মামলা পরিচালনার জন্য ‘উপযুক্ত নন'৷

মোছা.কামরুন্নাহার বাংলাদেশের কোনো আদালতে কোনো ধরনের ফৌজদারি মামলার বিচার করতে পারবেন না জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট৷

এনএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য