কান্না ভুলে বিজয়ীর হাসি
বল ট্যাম্পারিংয়ের অভিযোগে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন৷ কেঁদে, ক্ষমা চেয়ে অগোচরে শুরু করেছিলেন ফিরে আসার প্রস্তুতি৷ বিশ্বকাপেই ফিরেছিলেন৷ তবে স্টিভেন স্মিথের আসল ফেরাটা দেখা যাচ্ছে চলতি অ্যাশেজ সিরিজে৷
সেই কলঙ্ক
২০১৮ সালের মার্চে তাঁর নেতৃত্বেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছে অস্ট্রেলিয়া৷ টেস্ট সিরিজে দলের একেবারে নাজেহাল অবস্থা৷ বল ট্যাম্পারিং করে দলকে ম্যাচে ফেরাতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলেন, তাঁকে আর ডেভিড ওয়ার্নারকে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট বোর্ড৷ কত বড় অপরাধ করেছেন, দেশকে কতটা ছোট করেছেন বুঝতে পেরে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন স্মিথ৷
প্রথম দিনেই রেকর্ড
এবারের অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজ শুরু হয় বার্মিংহামে৷ আর প্রথম টেস্টের প্রথম দিনেই স্মিথের রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি৷ অ্যাশেজ সিরিজে ১১৭ বছর আগে প্রথম দিনের সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের জনি টিলডেসলি৷ ১৯০২ সালে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে ১৩৮ রান করেছিলেন তিনি৷ এবার স্মিথ করেছেন ১৪৪ রান৷
যেন তিনিই অস্ট্রেলিয়া
বল ট্যাম্পারিংয়ে ক্রিকেট এবং দেশের ক্রীড়া ইতিহাসের কলঙ্ক হয়ে ওঠা স্টিভেন স্মিথ প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেই থামেননি৷ দ্বিতীয় ইনিংসেও পেয়েছেন দারুণ এক সেঞ্চুরির (১৪২) দেখা৷ সুবাদে অ্যাশেজ ইতিহাসে ব্যাক-টু-ব্যাক সেঞ্চুরি করা অষ্টম ব্যাটসম্যান হয়েছেন তিনি৷ ২৫১ রানে ম্যাচ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া এবং জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখায় ম্যাচসেরা হয়েছেন স্মিথ৷
ইংল্যান্ড বনাম স্মিথ (১)
বার্মিংহামের মতো লর্ডস টেস্টেও অস্ট্রেলিয়ার সব আশা আর ইংল্যান্ডের সব হতাশার প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন স্মিথ৷ তাই অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে এক পর্যায়ে ডান হাতি এই ব্যাটসম্যানই হয়ে ওঠেন ইংলিশদের সব ধরনের আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য৷ কিছুতেই কাজ না হওয়ায় বাউন্সারের পর বাউন্সার ছোঁড়া হয় তাঁর দিকে৷ জফরা আর্চারের একটি বাউন্সার এসে লাগে হাতে৷ তারপরও বুক চিতিয়ে লড়ে যান স্টিভ স্মিথ৷
ইংল্যান্ড বনাম স্মিথ (২)
সিরিজে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির দিকেই এগোচ্ছিলেন৷ কিন্তু আর্চারের আরেকটা বাউন্সার হেলমেট এড়িয়ে সোজা এসে লাগে ঘাড়ের কাছে৷ মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন স্মিথ৷ দলের প্রয়োজনে ফিরে এসে আবার শুরু করেছিলেন লড়াই৷ কিন্তু সেঞ্চুরি পাননি৷ আট রান দূরে থাকতেই শেষ হয় আরেকটি লড়াকু ইনিংস৷