1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কান্দাহার ছেড়ে পালাচ্ছে মানুষ

২৯ জুলাই ২০২১

কান্দাহার  ঘিরে ফেলেছে তালেবান। শহরের প্রাণকেন্দ্রে না এলেও, নিয়মিত তারা শহরে ঢুকে 'শত্রু'দের ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

https://p.dw.com/p/3yDv1
কান্দাহার
ছবি: Danish Siddiqui/REUTERS

অপরাধ তিনি আফগান পুলিশ ফোর্সে চাকরি করতেন। তাই গত সপ্তাহে দুর মোহাম্মদের ভাইপোকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল তালেবান বাহিনী। চারদিন তার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র মারফত দুর মোহাম্মদ জানতে পেরেছেন, তার ভাইপোকে প্রকাশ্য রাস্তায় হত্যা করা হয়েছে। ৪২ বছরের দুর সারা জীবন কান্দাহার ছেড়ে কোথাও যাননি। কিন্তু এখন তিনি পালানোর পরিকল্পনা করছেন।

কান্দাহার ছেড়ে বহু মানুষ পালিয়ে যাচ্ছেন। এখনো কাবুল যাওয়া যাচ্ছে বিমানে। বহু মানুষ সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। কারণ স্থলপথ বন্ধ। গোটা কান্দাহার ঘিরে ফেলেছে তালেবান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো যাচ্ছে না। দোকানপাট অধিকাংশ সময়েই বন্ধ থাকছে। খোলা থাকলেও তারা যেতে ভয় পাচ্ছেন। কারণ, গোটা সীমানা জুড়ে লড়াই চলছে। শহরের প্রাণকেন্দ্রে তালেবান একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবনও দখল করেছে বলে শোনা গেছে।

সম্প্রতি মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, তালেবান সাধারণ মানুষকেও আক্রমণ করছে। প্রকাশ্য রাস্তায় তাদের হত্যা করা হচ্ছে। এখুনি এ ঘটনা বন্ধ হওয়া দরকার। তাদের বক্তব্য, সরকারি কর্মী অথবা সরকারের কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালাচ্ছে তালেবান। তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। জাতিসংঘও সম্প্রতি এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। যেখানে সবপক্ষকেই মানবাধিকারের কথা মাথায় রাখতে বলা হয়েছে।

তালেবান অবশ্য এ কথা মানতে রাজি হয়নি। তাদের বক্তব্য, যাবতীয় মানবাধিকার মেনেই তারা লড়াই করছে। কান্দাহারে সাংবাদিকদের একটি দল নিয়ে গিয়ে তারা পরিস্থিতি দেখাবে বলে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র। তার দাবি, ইসলামের আইন মেনেই তারা কান্দাহারে লড়াই করছেন।

এদিকে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে কান্দাহারে আটক করেছে আফগান সরকার। অভিযোগ, টেলিভিশন এবং রেডিও-র ওই সাংবাদিকরা প্রোপাগান্ডা ছড়াতে সেখানে গিয়েছিলেন। অ্যামনেস্টি দ্রুত ওই সাংবাদিকদের রেহাইয়ের ব্যবস্থা করতে বলেছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সাংবাদিকদের ছাড়ার ব্যাপারে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, আল জাজিরা)