1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাতারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবি

১৩ নভেম্বর ২০২০

কাতারের বিরুদ্ধে অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা তোলার দাবি জানালেন জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ। আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরিন ও মিশর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে।

https://p.dw.com/p/3lDvR
ছবি: Odd Andersen/AFP/Getty Images

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ অ্যালেনা ডুহান সাম্প্রতিক রিপোর্টে লিখেছেন, আঞ্চলিক ঝামেলার জেরে কাতারেরবিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আমিরাত, মিশর, সৌদি আরব ও বাহরাইন। এই চার দেশ অবশ্য দাবি করে কাতার সন্ত্রাসবাদের সমর্থক এবং ইরানের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ। তাই কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বন্ধ করে দিয়েছে এই চার দেশ। কিন্তু জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের মতে, মানুষের মানবাধিকার হরণ করে কোনো সরকারকে শিক্ষা দেয়ার নীতি ঠিক নয়।

অ্যালেনা ডুহানের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এভাবে সম্পর্কচ্ছেদ করার কোনো যুক্তিগ্রাহ্য কারণ নেই। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কাতারের মানুষের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা জারির পরেই চারটি দেশ কাতারের সমস্ত নাগরিককে নিজেদের দেশ থেকে বহিষ্কার করে। এর ফলে ওই সব মানুষেরা শুধু কাজ হারিয়েছেন তাই নয়, তাঁদের পারিবারিক সম্পর্কে তার প্রভাব পড়েছে। তাই এটা সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পর্যায়ে পড়ে।

কাতার গোড়া থেকেই বলে আসছে, তারা সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেয় না। জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেয় না। কিন্তু ওই চার দেশ তিন বছর আগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তখনই তারা জানিয়েছিল, ১০ দফা দাবি মানলে তারা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে। কিন্তু কাতার তা মানতে চায়নি।

দশটি দাবির মধ্যে একটি দাবি ছিল, কাতারের সংবাদসংস্থাকে বন্ধ করে দিতে হবে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞের মতে, এই ধরনের দাবি আন্তর্জাতিক আইনের বিরোধী। তাঁর মতে, কাতার সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সন্ত্রাস বিরোধী আইনও করেছে।

জাতিসংঘের এই বিশেষজ্ঞরা এমনিতে স্বাধীনভাবে কাজ করেন এবং তাঁদের রিপোর্ট জাতিসংঘের রিপোর্ট নয়। তবে জাতিসংঘ এই রিপোর্ট ব্যবহার করতে পারে। এই রিপোর্টটিও ২০২১ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বৈঠকে পেশ করা হতে পারে।

অতীতে এই বিরোধ মেটানোর কিছু চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হয়নি। কাতার জানিয়েছে, তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে রাজি। কিন্তু মনে রাখতে হবে, কাতারের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কোনো আপোস করা হবে না।

জিএইচ/এসজি(এএফপি, আল জাজিরা)