কাঙ্গায় চিত্রিত আফ্রিকার সংস্কৃতি
পূর্ব আফ্রিকার বেশ জনপ্রিয় পোশাক কাঙ্গা৷ রঙচোঙা এসব পোশাকে সোয়াহিলি সংস্কৃতির ছাপগুলো সমসাময়িক নকশার আলোকে তুলে ধরা হচ্ছে৷
সমৃদ্ধ ফ্যাশন
উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে পূর্ব আফ্রিকায় কাঙ্গার খোঁজ পাওয়া যায়৷ বিশ্বাস করা হয় যে, জাঞ্জিবারের কিছু স্টাইলিশ নারীর মধ্যে ছয় দৈর্ঘ্যের ছাপার ওড়না কেনার ধারণা ছিল, যা থেকে এই পোশাকের উৎপত্তি৷
আফ্রিকান কাপড়
উজ্জ্বল রঙিন নকশার জন্য পরিচিত কাঙ্গা মানুষের প্রতিদিনের জীবিকা নির্বাহেও ভূমিকা রাখছে৷ এতে বিমূর্ত নিদর্শন থেকে পাখি ও ফুলের চিত্র নকশায় রূপান্তর করা হয়৷ জনপ্রিয় এই পোশাকটি তানজানিয়া, কেনিয়া, মাদাগাস্কার, কোমোরোস দ্বীপপুঞ্জ, মোজাম্বিক, পূর্ব ডিআরসিসহ আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পাওয়া যায়৷
পাখি থেকে অনুপ্রাণিত
কাঙ্গা শব্দটি ক্রেতাদের মধ্যে নতুন নকশা হিসেবে আবির্ভুত হয়৷ এর নকশার দর্শনীয় গিনি পাখির ছাপ লক্ষ্য করা যায়৷
লেখার মধ্যে আছে সব
কাঙ্গাগুলো কেবল নকশা ও উজ্জ্বল রঙের জন্যই নয়, এগুলো বাণী ও প্রবাদ হিসাবেও পরিচিত৷ এই শতাব্দীর গোড়ার দিকে সোয়াহিলির বক্তব্যকে কাঙ্গা নকশায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল৷ এই ছবিতে চিত্রিত কাঙ্গার প্রবাদটি হলো- ‘পিতামাতার জ্ঞান ডিগ্রীকেও অতিক্রম করে’৷
একটি বিবৃতি
বিশ্বাস করা হয় সোয়াহিলি ভাষায় প্রবাদগুলো মম্ববাসার ব্যবসায়ী কাদেরডিনা হাজী এসাক থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, যিনি আবদুল্লা নামেও পরিচিত ছিলেন৷ তাঁর নকশাগুলো কে এইচ ই মালি ইয়া আবদুল্লা চিহ্ন দ্বারা পৃথক করা হয়েছে৷ স্ক্রিপ্টগুলো রোমান অক্ষরের সাথে খাপ খাইয়ে আগে আরবিতে লেখা ছিল৷
সব মৌসুমের উপহার
কাঙ্গা প্রায়ই নারীদের উপহার হিসাবে দেওয়া হয়৷ কেনিয়া ও তানজানিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠানের সময় কাপড়টি প্রতীকী উপহার হিসেবে ব্যবহার করা হয়৷ এছাড়া পুরুষরা এটি পরিধান করে এবং শিশুদের এই কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়৷
বার্তা দিচ্ছে কাঙ্গা
কাঙ্গা বর্তামানে সোয়াহিলি সংস্কৃতিকে তুলে ধরার মাধ্যম হয়ে উঠেছে৷ এর মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জনগণকে একত্রিতকরণের বার্তাও ছড়িয়ে দেয়া হয়৷
সাংস্কৃতিক সেতু
কাঙ্গা ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধারণ করে সোয়াহিলি সংস্কৃতিকে চিত্রিত করে চলছে৷ কাপড়টি প্রচলিত এবং সমসাময়িক ফ্যাশনের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সেতু হিসেবেও কাজ করে৷