1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কাগজ আমরা দেখাব না

স্যমন্তক ঘোষ নতুন দিল্লি
১৪ জানুয়ারি ২০২০

এনআরসি, সিএএ নিয়ে আগেই সরব হয়েছিলেন বাংলার বিশিষ্টজনেরা। এ বার ভিডিও বার্তায় তাঁরা জানিয়ে দিলেন সরকারকে কোনও ভাবেই তাঁরা কোনও কাগজ দেখাবেন না।

https://p.dw.com/p/3W9mk
ছবি: DW/S. Bandopadhyay

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সংসদে পাশ হওয়ার পরে গোটা ভারতে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজন, সকলেই প্রতিবাদে সামিল। মুম্বইয়ে মিছিল করেছেন মুম্বই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বহু শিল্পী। দিল্লিতে এসে জেএনইউ ক্যাম্পাস ঘুরে গিয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন। কলকাতাতেও শিল্পীরা মিছিল করেছেন। এ বার তাঁরা একটি ভিডিও প্রকাশ করলেন। যাতে কবিতার মাধ্যমে তাঁরা জানিয়ে দিলেন, সরকার যতই দমনমূলক, বিভেদমূলক আইন তৈরি করুক, প্রশাসনকে কোনও কাগজ দেখানো হবে না। কারণ, এ দেশে যাঁরা বাস করেন, তাঁরা নিজ অধিকারে বাস করেন। কোনও সরকার সেই অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।

কলকাতায় প্রতিদিন এনআরসি, সিএএ বিরোধী সভা হচ্ছে। শিল্পীরা আক্রান্তও হয়েছেন দক্ষিণপন্থীদের হাতে। চলচ্চিত্র পরিচালক দেবলীনা, বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক রনি সেনদের উপর শারীরিক আক্রমণ হয়েছে। যার জেরে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে বেশ কিছু দুষ্কৃতীকে। এই ভিডিওতে তাঁরাও গলা মিলিয়েছেন। ভিডিওটি পরিচালনা করেছেন রনি। ডয়চে ভেলেকে তিনি জানিয়েছেন, ''এই ভিডিওটি কোনও শিল্পকীর্তি নয়। সময়ের দাবি মেনেই আমরা এটা তৈরি করেছি। এখন চাই ভিডিওটি দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ুক। আর এটা শুধু আমাদের কথা নয়। গোটা দেশ আসলে এই কথাটাই বলছে। তাই ভিডিওটির একেবারে শেষে বিভিন্ন ভাষায় আমরা লিখেছি একটাই কথা-- কাগজ আমরা দেখাব না।''

ভিডিওতে কথা বলেছেন প্রবীণ অভিনেতা ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। আবার তরুণ অভিনেত্রী স্বস্তিকা কিংবা কঙ্কণা সেনশর্মারাও এতে অংশ নিয়েছেন। কথা বলেছেন পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়, গায়ক রূপম ইসলামরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ভিডিওটি। অনেকেই টুইটারে, ফেসবুকে শেয়ার করছেন।

বিপরীত প্রতিক্রিয়াও হচ্ছে। ভিডিওতে গিয়ে অনেকেই গালাগালি করছেন অভিনেতাদের। এ বিষয়ে দেবলীনার বক্তব্য, ''দক্ষিণপন্থীদের আইটি সেল এই কাজটাই করছে। বিরোধী সুর শুনলেই গালাগাল করছে। ওরা যত এরকম করবে, ততই আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।''

আরএসএস তথা বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্ত অবশ্য বলেছেন, ''গণতান্ত্রিক দেশে সকলেই নিজের কথা বলতে পারেন। তবে একটা প্রশ্ন করতে চাই। যে শিল্পীরা বলছেন, কাগজ দেখাব না, তাঁরা বিদেশে শুটিং করতে যাওয়ার সময় অভিবাসন দফতরকেও একই কথা বলতে পারবেন তো?''

আন্দোলনকারী শিল্পীরা অবশ্য রন্তিদেবের কথা উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা বলেছেন, অভিবাসন দফতরকে কাগজ দেখানো, আর নিজের নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য রাষ্ট্রকে কাগজ দেখানো এক বিষয় নয়। বিজেপি এটা জানে। কিন্তু জেনেও গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

ডয়চে ভেলের দিল্লি প্রতিনিধি স্যমন্তক ঘোষ
স্যমন্তক ঘোষ ডয়চে ভেলে, দিল্লি ব্যুরো