কাইলি মিনোগের জানা-অজানা কথা
গত ত্রিশ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ার এই ‘পপ ডিভা’ দুনিয়াকে নাচাচ্ছেন, নেচে-গেয়ে, সেক্স সিম্বল হিসেবে, ফ্যাশন আইডল হিসেবে৷ পঞ্চাশেও কাইলি মিনোগ অম্লান৷
পিন-আপ গার্ল
বাস্তবিক অর্থে ‘গার্ল’, এমনকি ‘চাইল্ড’ বা শিশুও বলা যেতে পারে৷ কাইলি মাত্র পাঁচ ফুট উঁচু, তন্বী, ৩৪ সাইজের ফিগার৷ নিজের সম্পর্কে একবার মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘ফ্লার্ট করা আমার স্বভাব, ওর সাথে যৌনতার কোনো সম্পর্ক নেই৷ বেশির ভাগ সময় আমি কুকুরছানার মতো নাচানাচি করি৷’’ পঞ্চাশে কাইলিকে চিরকালের সুন্দরী বা সেক্স সিম্বল বলায় কোনো বাধা নেই৷
সোপ অপেরার স্টার
অস্ট্রেলিয়ান টেলিভিশনের ‘দ্য হেনডারসন কিডস’ সোপ অপেরাতে কাইলিকে প্রথম দেখা যায় ১৯৮৫ সালে৷ তাঁর বয়স তখন ১৭৷ ছবিতে তাঁকে সহ-অভিনেতা মার্ক হেনেসির সঙ্গে দেখা যাচ্ছে৷ কাইলি তখনও ‘ব্লন্দিনী’ হননি, চুলের কেয়ারিও আশির দশকের কায়দায়৷ সিরিজটিতে কাইলি ছিলেন পার্শ্ব অভিনেত্রী, কিন্তু এতই জনপ্রিয় যে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে পরের বছরের একটি সিরিজের জন্য নিযুক্ত করা হয়৷
সাফল্য
কাইলির পরের সোপ অপেরাটির নাম ছিল ‘নেবার্স’ বা ‘পড়শি’৷ কাইলির ভবিষ্যৎ সঙ্গী জেসন ডোনোভানও সিরিজটিতে অভিনয় করেছিলেন৷ কিন্তু ‘পড়শি’র মূল ফলশ্রুতি হয় এই যে, কাইলি তাঁর স্বদেশ অস্ট্রেলিয়ায় ‘টিনি আইডল’ হয়ে ওঠেন৷
‘এস্পেশালি ফর ইউ’
আশির দশকের পপ সংগীতে মিষ্টিমধুর প্রেমের গানের ছড়াছড়ি৷ তা সত্ত্বেও কাইলি আর তাঁর সে আমলের প্রেমিক জেসন ডোনোভান যেভাবে ‘বিশেষ করে তোমার জন্য’ গানটি গেয়েছেন, তাতে আজকের অনেকের ‘বড্ড মিষ্টি’ বলে মনে হতে পারে৷ মাথায় লম্বা চুল, কাঁধে শোল্ডার প্যাডস – মার্কামারা আশির দশক৷ গানটি কিন্তু আন্তর্জাতিক টপ টেন তালিকায় উঠেছিল৷
মোমের পুতুল
লন্ডনে মাদাম তুসোর ওয়াক্স মিউজিয়ামে কাইলির চারটি মূর্তি রাখা আছে৷ গায়িকা হিসেবে কাইলি এত তাড়াতাড়ি নাম করেন যে, ফ্যানরা ভালোবেসে (?) তাঁকে বলতেন ‘সিঙিং বাজি’, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার বাজেরিগার নামের রঙচঙে টিয়াপাখি, যে গানও গাইতে পারে৷
অন্য এক কাইলি
‘হোয়্যার দ্য ওয়াইল্ড রোজেস গ্রো’ – ‘যেখানে বুনো গোলাপ ফোটে’ – গানটিতে কাইলির জুটি নিক কেভ অ্যান্ড হিজ ব্যাড সিডস গোষ্ঠী, যারা গথিক/পাংক শৈলীর গান গাইতো৷ গানটির কাহিনি এক প্রেমিককে নিয়ে, যে তার প্রেমিকাকে হত্যা করেছে৷ ছবির ভিডিওতে কাইলিকে সেই নিহত প্রেমিকা হিসেবে দেখা যাচ্ছে৷
কাইলির কামব্যাক
নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে কাইলির রেকর্ড বিক্রি কমে যায়৷ তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও তখন ঘনঘটা৷ কিন্তু ২০০০ সালে কাইলি আবার মঞ্চে ফেরেন ‘লাইট ইয়ার্স’ অ্যালবামটি দিয়ে৷
‘কান’ট গেট ইউ আউট অফ মাই হেড’
২০০১ সালের ‘ফিভার’ অ্যালবামের এই গানটি ও তার সংশ্লিষ্ট ভিডিও আবার কাইলিকে সাফল্যের শিখরে ফিরিয়ে দেয়৷ কাইলির বয়স তখন ৩০ ছাড়িয়েছে বটে, কিন্তু তিনি টিনএজারদের মতো তন্বী রয়ে গেছেন – ভিডিওয় তাঁর সাজপোশাকে তা দেখাতেও কাইলি কোনো কার্পণ্য করেননি৷
কাইলির নিজের ব্র্যান্ড
২০০১ সাল থেকেই কাইলি তাঁর নিজের ফ্যাশন আর প্রসাধন সামগ্রী বাজারে আনছেন৷ ‘লাভ কাইলি’ নাম দিয়ে মহিলাদের অন্তর্বাসও বেচে থাকেন৷ ২০০৬ সালে তাঁর নামে ছ’ধরনের পারফিউম বা সুগন্ধ আসে৷ ২০০৮ সালে বেরোয় ‘কাইলি অ্যাট হোম’ নাম দিয়ে তাঁর বিছানার চাদর আর জানলার পর্দার কলেকশান৷
চিরযৌবনা
পঞ্চাশে পা দেবার স্বল্প আগে কাইলি তাঁর ১৪ নম্বর স্টুডিও অ্যালবামটি রিলিজ করেছেন৷ নাম: ‘গোল্ডেন’৷ ন্যাশভিলে গিয়ে অ্যামেরিকান কান্ট্রি-ওয়েস্টার্ন সাউন্ডের প্রেমে পড়ে নাকি কাইলি এই অ্যালবামটি রেকর্ড করেন৷ গান গেয়েই নাকি তিনি প্রেমে তাঁর হতাশা আর হৃদয়বেদনা ঘুচিয়েছেন৷