1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজকসোভো

কসোভোয় বিক্ষোভ অব্যাহত, আরো ন্যাটো সেনা

৩১ মে ২০২৩

কসোভোর বিক্ষোভ থামাতে ন্যাটো আরো ৭০০ সেনা মোতায়েন করেছে। সার্বরা নিজেদের দাবিতে অনড়।

https://p.dw.com/p/4RzJS
কসোভোয় বিক্ষোভ
ছবি: Ognen Teofilovski/REUTERS

সোম এবং মঙ্গলবারের সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন ন্যাটোর সেনা আহত হয়েছিলেন। তারই জবাবে মঙ্গলবার কসোভোয় আরো ৭০০ সেনা মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন সেনারা ইতিমধ্যেই কসোভোয় পৌঁছে গেছেন। প্রয়োজনে যাতে আরো সেনামোতায়েন করা যায়, তার জন্য রিজার্ভ ফোর্সকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

কসোভোয় ন্যাটোর সেনাকে সংক্ষেপে কসোভো ফোর্স বা কেফোর্স বলে চিহ্নিত করা হয়। সোমবার সার্ব অধ্যুষিত কসোভোয় প্রথমে স্থানীয় পুলিশ এবং পরে কেফোর্সের সঙ্গে বিক্ষোভরত সার্বদের তীব্র সংঘর্ষ হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। গ্রেনেড ছুঁড়েছে বলেও অভিযোগ। সার্বরাও পাল্টা আক্রমণ করেছে। এরই জেরে অন্তত ৩০জন কেফোর্সের জওয়ান গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। এরপরেই নতুন ফোর্স মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

কসোভোর ৯০ শতাংশ অধিবাসী আলবেনিয়ান। বাকি অংশ সার্ব। যে অঞ্চলে বিক্ষোভ চলছে, তা সার্বিয়া সীমান্তের কাছে। এই অঞ্চলটি সার্ব অধ্যুষিত। ২০১৩ সাল থেকে সার্বদের দাবি, তাদের জন্য পৃথক মিউনিসিপাল সংস্থা তৈরি করে দেওয়া হোক। কিন্তু কসোভোর প্রধানমন্ত্রী কোনোভাবেই তা মেনে নিতে রাজি নন। তার বক্তব্য, একাজ করলে কসোভো কার্যত দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যাবে। এরই প্রতিবাদে গত এপ্রিলে ভোট বয়কট করেন সার্বরা। মাত্র সাড়ে তিন শতাংশ ভোট পড়ে ওই অঞ্চলে। আর সেই ভোট পেয়ে সার্ব অঞ্চলে জয়ী হন আলবেনিয়ান মেয়ররা। গত সোমবার তারা পুরসভায় বসতে গেলে বিক্ষোভ শুরু হয়।

কসোভা আলবেনীয় ও কসোভো সার্ব মেয়েরা একসঙ্গে ফুটবল খেলছে

প্রতিটি পুরসভা কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দিয়েছে কেফোর্স। বাইরে টহল দিচ্ছে তারা। কার্যত ঘিরে রাখা হয়েছে পুরসভাগুলি। আর তার ঠিক বাইরে দাঁড়িয়েই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সার্বরা। মেয়রদেরও নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এপ্রিলের নির্বাচনকে অন্যায় বলেছেন। সার্বদেরদাবি পুনর্বিবেচনার আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।

সোম এবং মঙ্গলবারের লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত ৩০ জন কেফোর্স এবং ৫২ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আগামী কয়দিন উত্তেজনা কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)