1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কলকাতায় খনি যন্ত্র প্রদর্শনীতে ‘ফোকাস কান্ট্রি' জার্মানি

১১ নভেম্বর ২০১০

ভারতে ১০ম আন্তর্জাতিক খনি যন্ত্র প্রদর্শনী আইএমএমই ২০১০ চলছে কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে৷ এবারের প্রদর্শনীর সহযোগী দেশ অস্ট্রেলিয়া আর কেন্দ্রীয় দেশ বা ‘ফোকাস কান্ট্রি' জার্মানি৷

https://p.dw.com/p/Q5mT
প্রদর্শনীতে জার্মান প্যাভিলিয়নছবি: DW

মূলত খনিশিল্পের সঙ্গে যারা যুক্ত, এই আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী তাদেরই আগ্রহের বিষয়৷ কিন্তু যেহেতু ‘মেড ইন জার্মানি' এবারের কেন্দ্রীয় বিষয়, অনেক সাধারণ মানুষকেও দেখা গেল আইএমএমই সম্পর্কে উৎসাহী হতে৷ সম্ভবত এদের কথা ভেবেই, এবং অবশ্যই শিল্পোদ্যোগীদের আকর্ষণ করতে এবার খনি যন্ত্র প্রদর্শনীর সঙ্গে মানানসই বিনোদনের বন্দোবস্তও দেখা গেল৷ যন্ত্রসঙ্গীতের তালে তালে রীতিমত নাচ দেখাল অতিকায় সব ক্রেন, মাটি খোঁড়ার যন্ত্র আর পে লোডার৷ পাশাপাশি ছিল খনন প্রযুক্তি নিয়ে কুইজের আসর, সাধারণ দর্শকরাও যাতে অংশ নিলেন৷

জার্মানির মোট ১৬টি খনি যন্ত্র নির্মাতা সংস্থা অংশ নিয়েছে এবারের প্রদর্শনীতে৷ কেন জার্মানিই এবারের ফোকাস কান্ট্রি, সেই প্রশ্নের উত্তরে প্রদর্শনীর অন্যতম উদ্যোক্তা, ভারতে জার্মান ইঞ্জিনিয়ারিং ফেডারেশন ভিডিএমএ-র প্রধান রাজেশ নাথ জানালেন, ‘‘আইএমএমই যবে থেকে শুরু হয়েছে, জার্মানির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতাও তখন থেকে৷ আর প্রযুক্তিগত দিক থেকে, জার্মানির খনন যন্ত্র, বিশেষ করে ভূগর্ভে মাটি খোঁড়ার যন্ত্র বিশ্বের সেরা৷ এবং খনি যন্ত্র নির্মাণকারী সংস্থাগুলোর কাছে জার্মানির আলাদা গুরুত্ব আছে৷''

10. International Mining & Machinery Fokus Deutschland
খনি যন্ত্রের ক্ষেত্রে জার্মানির সাফল্য নজর কাড়ার মতোছবি: DW

ভিডিএমএ-র দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, খনি যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে জার্মানির সঙ্গে ভারতের বিনিময় প্রতি বছরই নিয়মিতভাবে বাড়ছে৷ ২০০৩ আর্থিক বছরে যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১.৩৬ মিলিয়ন ইউরো, ২০০৮ সালে সেটাই বেড়ে হয় ৯৬ মিলিয়ন ইউরো৷ ২০০৯ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ব্যবসা পড়ে গেলেও চলতি আর্থিক বছরে এর মধ্যেই ৯৪ মিলিয়ন ইউরোর জার্মান খনি যন্ত্র ভারতে বিক্রি হয়েছে৷ তার কারণ, ভারত ও চীনসহ অনেক দেশেই এখন নতুন করে খনিজ সম্পদ আহরণ শুরু হয়েছে৷ রাজেশ নাথ বললেন, ‘‘ভারত এবং চীন, এই দুই দেশে খনি ফের গুরুত্ব পাচ্ছে, যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলোতে, বিশেষত জার্মানিতে খনন ক্রমশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ ভারতে আমাদের জ্বালানির চাহিদার ৫৮ শতাংশই কয়লা থেকে মেটানো হয়৷ আর ভারতে যে হারে শিল্পের বৃদ্ধি হচ্ছে, তার জ্বালানির চাহিদা মেটাতে গিয়ে কয়লার উৎপাদনও বাড়াতে হচ্ছে৷''

ভারতে যে প্রচুর পরিমাণে বহুতল বাড়ি তৈরি হচ্ছে, তার জন্যও উঁচু ক্রেন ইত্যাদি যন্ত্রের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে৷ নির্মাণ যন্ত্রের ক্ষেত্রেও জার্মানি এখন ভারতে এক নম্বর রপ্তানীকারক দেশ৷

সুতরাং উদীয়মান ভারতের জ্বালানির চাহিদা মেটাতে কেবল খনি যন্ত্র নয়, নতুন ভারত গড়ার জন্যও কাজে লাগছে আধুনিক প্রযুক্তি এবং যন্ত্র, যার গায়ে ছাপ থাকছে, মেড ইন জার্মানি৷

প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন