কলকাতায় কর্পোরেট কর্তা ও চালক খুনে গ্রেপ্তার এক
রোববার মাঝরাতে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তার ড্রাইভারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, রহস্যের কিনারা হয়েছে।
বাড়িতে খুন
দক্ষিণ কলকাতার কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী ও তার ড্রাইভার রবীন মণ্ডলের মৃতদেহ পাওয়া যায়। দুইটি মৃতদেহ ছিল আলাদা তলায়। দুজনকেই গলায়, কব্জিতে ও পায়ে কোপ মারা হয়েছিল। প্রচুর রক্তের মধ্যে পড়েছিল দেহ দুটি।
বাড়ি বিক্রির জন্য?
সুবীর চাকীর কলকাতায় অনেকগুলি বাড়ি আছে। তিনি থাকেন রাজারহাটে। বাড়িতে বলে এসেছিলেন, কাঁকুলিয়া রোডর বাড়ি বিক্রির জন্য সেখানে যাচ্ছেন। বাড়ির কাগজপত্রও সঙ্গে নিয়েছিলেন। বাড়ি বিক্রি নিয়েই কি এই খুন?
গাড়িতে কাগজপত্র
সুবীর চাকীর মার্সিডিজ গাড়ির ভিতরেই ছিল কাগজপত্র। তিনি তা কাঁকুলিয়া রোডের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাননি। পুলিশ বুঝতে পারছে না, কেন তিনি গাড়িতেই কাগজ রেখে গেলেন? তাদের প্রশ্ন, খুনিদের কি চিনতেন তিনি? নাকি চেনা কেউ খুনিদের পাঠিয়েছিল?
দালালের আসার কথা
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, রোববার এক ক্রেতাকে নিয়ে একজন দালালের আসার কথা ছিল সুবীর চাকীর কাছে। জোড়া খুনের সঙ্গে দালালচক্র জড়িত কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মোবাইল কেন নিল খুনিরা?
সুবীর চাকী তার বাড়িতে শেষবার কথা বলেছিলেন সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ। সওয়া ছয়টা পর্যন্ত তার হোয়াটস অ্যাপ চালু ছিল। তারপর তা বন্ধ হয়ে যায়। খুনিরা কি প্রমাণ লোপাটের জন্য তার মোবাইল নিয়ে পালিয়েছে?
পুলিশের দাবি, কিনারা হয়েছে
পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, কে খুন করেছে, তা তারা জেনে গেছেন। মিঠু হালদার বলে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মিঠুর ছেলে ভিকি ও তার সঙ্গীরা এই হত্যার পিছনে। মিঠুও ষড়যন্ত্রে ছিল। তার ডায়মণ্ড হারবারের বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাও পুলিশ উদ্ধার করেছে। মিঠু ওখানেই একটি বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে। ভিকি ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করাটা সময়ের অপেক্ষা বলে পুলিশ জানিয়েছে। উপরের ছবিটি ফরেনসিক কর্মীদের।
দেহ সৎকার
সুবীর চাকীর ছেলে বিদেশ থেকে ফেরার পর সোমবার তার দেহ সৎকার হয়। তার দেহ রাখা ছিল পিস ওয়ার্ল্ডে।
পরপর জোড়া খুন
কিছুদিন আগেই বেহালায় মা-মেয়েকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। তবে সেটা ছিল গয়না হাতাবার জন্য। গত শুক্রবার বিজয়া দশমীর দিন গঙ্গার ঘাটের কাছে জোড়া মৃতদেহ পাওয়া যায়। তারপর সামনে এল কাঁকুলিয়ার জোড়া খুন। পুলিশ যার কোনো কিনারা দূরে থাক, তদন্তে নেমে এখনো বেশিদূর এগোতেই পারেনি।