কলকাতার নারী বাস ড্রাইভার কল্পনা মণ্ডল
বাবা বাস চালাতেন। অ্যাক্সিডেন্ট হয়। তারপর অনেক লড়াই করে, প্রতিকূলতাকে জয় করে কল্পনা মণ্ডল এখন নিয়মিত বাস চালান।
চালকের আসনে কল্পনা
কল্পনার বাসচালক হওয়ার কাহিনি হলো এক নারীর সংগ্রামের কাহিনি। গরিব পরিবার। বাবা বাস চালাতেন। তার অ্যাক্সিডেন্টের পর কল্পনা ঠিক করেন তিনিও বাস চালাবেন। কিন্তু বললেই তো হয় না। কেউ এই তরুণীর হাতে বাস দিতে রাজি ছিলেন না। শেষ পর্যন্ত অনেক চেষ্টার পর বাস পেলেন তিনি।
অবাক দৃষ্টি
প্রথম প্রথম বাসের স্টিয়ারিংয়ে এই তরুণীকে দেখে অনেকেই অবাক হয়ে যেতেন। আগে চালাতেন এসপ্ল্যানেড-বরানগর রুটের বাস। এখন চালান নোয়াপাড়া-ধর্মতলা রুটের ৩৪সি বাস।
সাহসী কল্পনা
কল্পনা অসীম সাহসী। কোনো কিছুতেই হার মানেন না। এই তরুণীর হাতে বাসও নিরাপদ।
মা পাশে
কল্পনা যখন বাস চালান, তখন তার মা পাশে রিজার্ভ সিটে বসে থাকেন। মেয়েকে একা ছাড়েন না তিনি।
থাকেন বাবাও
অ্যাক্সিডেন্টের পর বাবা আর বাস চালাতে পারেন না। তবে তিনিও মেয়ের পাশে থাকেন। কখনো কন্ডাক্টরকে সাহায্য করেন। কখনো মেয়ের পাশে বসে থাকেন। মেয়ে বাস চালানোয় বাবা-মা দুজনেই গর্বিত।
একার কাঁধে সংসার
গরিব পরিবারের সব ভার নিজের কাঁধে নিয়ে নিয়েছেন কল্পনা। সপ্তাহে ছয়দিন বাস চালান কল্পনা, একদিন ম্যাটাডোর। তার আয়ে সংসার চলে।
বাস চালানোর ফাঁকে খেয়ে নেয়া
বাস চালানোর ফাঁকে মায়ের সঙ্গে ভাত খেয়ে নিচ্ছেন কল্পনা।
নিজের বাড়িতে
বরানগরে টিনের বাড়ি। সেখানেই মার সঙ্গে কল্পনা।
দিনের শেষে
দিনের শেষে ঘরে ফিরেছেন কল্পনা। ছোট আয়নার সামনে চলছে কেশসজ্জা।
সামাজিক মাধ্যমে
কল্পনার বাস চালানোর ছবি একজন সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করেন। তারপর সেই ভিডিও ভাইরাল হয়। এখনো নিয়মিত চর্চার মুখে কল্পনা মণ্ডল, কলকাতার নারী বাসচালক।