কর্মীদের ক্লান্তি দূর করে এক্সোস্কেলেটন
২০ সেপ্টেম্বর ২০২১জার্মানির হেলমুট শ্মিড্ট ইউনিভার্সিটির রোবোটিক্স অ্যাণ্ড অটোমেশন বিভাগে অধ্যাপক রবার্ট ভাইডনার ও তার দল চার বছর ধরে এক্সোস্কেলেটন নিয়ে গবেষণা করছে৷ শরীর বাঁকানো, ভারী বস্তু তোলা কিংবা হাঁটু গেড়ে বসার সময় শরীরকে একটু স্বস্তি দিতে সহায়তা করে এক্সোস্কেলেটন৷
অধ্যাপক ভাইডনার বলেন, ‘‘আমরা এমন কোনো এক্সোস্কেলেটনের খবর জানিনা যেটা একসঙ্গে শরীরের অনেক অংশকে স্বস্তি দেয়৷ এক্সোস্কেলেটন সাধারণত শরীরের একটি অংশের জন্য কাজ করে৷ যেমনটা এখানে দেখতে পাচ্ছেন৷ প্রথম তিনটি ঘাড়ের জন্য, বাকিগুলো পিঠের বিভিন্ন অংশকে সহায়তা করে৷''
কিছু এক্সোস্কেলেটন নরম বেল্ট দিয়ে বাঁধা যায়, আর কিছুর জন্য মেটালের শক্ত বেল্ট প্রয়োজন হয়৷ প্যাসিভ মডেলের এক্সোস্কেলেটন যেমন আছে, তেমন আছে মোটরযুক্ত অ্যাক্টিভ মডেলের এক্সোস্কেলেটন৷ নির্মাণকাজের মতো বিভিন্ন কাজের জন্য কোন সিস্টেমের এক্সোস্কেলেটন প্রয়োজন তা জানতে গবেষণা চলছে৷
পিএইচডি শিক্ষার্থী শেসুন ইয়াও একটি এক্সোস্কেলেটন বানিয়েছেন যার সঙ্গে মোটর লাগানো আছে৷ এটি ভারী বস্তু তোলার সময় হাত ও পিঠের ক্লান্তি দূর করার কথা৷
পরীক্ষা শুরুর আগে বায়োমেকানিক গবেষক টিম শুবার্ট শেসুন ইয়াও শরীরের এমন সব জায়গায় রিফ্লেক্টিভ মার্কার বসান যেগুলো ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়৷ নড়াচড়া করার সময় শরীরের কোন অংশ কোথায় যাচ্ছে তার তথ্য রাখে মার্কার৷ আর ক্যামেরা সেই মোশন প্যাটার্ন কম্পিউটারে পাঠিয়ে দেয়৷ এছাড়া ত্বকের উপর সেন্সর বসানো হয়, যা পেশির নড়াচড়ার তথ্য কম্পিউটারে পাঠায়৷
এরপর শেসুন ইয়াও দশ কেজির বাক্স বাম থেকে ডানে সরানো শুরু করেন৷
অধ্যাপক ভাইডনার বলেন, ‘‘এর মাধ্যমে আমার বোঝার চেষ্টা করি, এই সিস্টেম একজন নির্মাণ শ্রমিকের ক্লান্তি কতটা কমাতে পারে৷ এছাড়া আমরা এটাও জানতে চাই, এর ফলে মানুষের নড়াচড়ায় কতটা পরিবর্তন আসতে পারে৷''
এক্সোস্কেলেটন যদি মানুষের স্বাভাবিক নড়াচড়ায় পরিবর্তন আনে তাহলে সেটা দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জোড়ার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে৷
পরীক্ষা শেষে টিম শুবার্ট জানান, এক্সোস্কেলেটনের কারণে ক্লান্তির পরিমাণ ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমেছে৷ এর মানে হচ্ছে, বাক্স যখন তোলা হচ্ছে তখন এটি আড়াই থেকে তিন কেজি হালকা মনে হয়৷ আর অন্য পরীক্ষায় দেখা গেছে, এক্সোস্কেলেটন স্বাভাবিক নড়াচড়ায় পরিবর্তন আনছে না৷
টিমোথি ভিন/জেডএইচ