করোনায় লাশের মিছিল, জায়গা হচ্ছে না কবরস্থানে
করোনার আঘাতে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি মেক্সিকো৷ নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরে মৃত্যুর হার এত বেশি যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মৃতদের সমাহিত করতে হিমশিম খাচ্ছে৷ জোনাথন আল্পিয়েরি ক্যামেরায় দেখুন বিস্তারিত৷
মৃতের জন্য আর কোনো জায়গা নেই
নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় একটির উপর আরেকটি শব রাখা হচ্ছে৷ কিন্তু তারপরও পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না৷ তাই নতুন মরদেহ জায়গা দিতে কর্তৃপক্ষ মৃতশিশুসহ অনেকের পুরনো কফিন সরিয়ে ফেলছে৷
রাস্তায় কফিন
একটি শিশুর কফিন যেটি আগে কবরস্থানে ছিল, সেটিকে এখন রাস্তায় রাখা হয়েছে৷ যদি তার পরিবার মরদেহটি অন্য কোথাও নিতে না চায় তাহলে সেটি বের করে পুড়িয়ে ফেলা হবে৷ আর তখন তার কফিনে নতুন কোন মৃতের জায়গা হবে৷
করোনা ভাইরাসের কঠিন আঘাত
কোভিড-১৯ এ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি মেক্সিকো৷ সেখানে ৩১ জুলাই অবধি করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৬৮৮ জন, আর মোট আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ২৪ হাজার ৬৩৭ জন৷ নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরের ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি৷ মেক্সিকোর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এই পৌরসভায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১৫ হাজার মানুষ বাস করেন৷
মেক্সিকো সিটির পাশে হটস্পট
নাজেওয়ারকোয়িওটো শহরের অবস্থান মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটির পাশেই৷ সেখানকার অনেক বাসিন্দা মূলত ছোটখাট ব্যবসা করে জীবন চালান৷ করোনাকালে তাদের পক্ষে জীবন চালিয়ে নেয়া বেশ দুরুহ হয়ে উঠেছে৷
লকডাউন ‘বেশি তাড়াতাড়ি তুলে নেয়া হয়েছে’
স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বার্তায় ছেয়ে ফেলা হয়েছে নাজেওয়ারকোয়িওটো৷ এই পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘এটাই তোমার শেষ প্রস্থান নয়৷’ তবে নগরবাসীর দাবি শহরটি লকডাউন করা হয়েছে অনেক দেরি করে, আবার সেই লকডাউন খুব দ্রুত তুলেও নেয়া হয়েছে৷ শহরটির মেয়রও বিষয়টি স্বীকার করেছেন৷
পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে মরদেহ
মানুষ এত দ্রুত মারা যাচ্ছে যে তাদের সমাধিস্থ করা আর সম্ভব হচ্ছে না৷ তাই অনেক মরদেহ এখন পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে৷ নগরে মরদেহ পোড়ানো স্থানের কর্মীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন আটটা বা তারও বেশি মরদেহ পোড়ানো হচ্ছে৷
হাসপাতালের বদলে ঘরেই থাকছেন আক্রান্তরা
অ্যাম্বুলেন্স আর হাসপাতালে করোনা ভাইরাস বেশ দ্রুত ছড়ায় - এমন ধারণা থেকে অনেক পরিবার তাদের করোনা আক্রান্ত সদস্যদের বাসাতেই রাখছেন৷ মেক্সিকোর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর অসন্তোষও বাড়ছে৷
‘হিট-এন্ড-রান’
গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত এই ব্যক্তিকে চিকিৎসার সময় চিকিৎসকরা সন্দেহ করেন তিনি সম্ভবত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ দুর্ঘটনার পর তার পরিবারের সদস্যরাও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷
‘হাসপাতাল নয়, ঘরই নিরাপদ’
আহতের পরিবারের সদস্যরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে বাধা দেয়৷ বরং গাড়িতে করে বাসায় নিয়ে নিজেরাই তার খেয়াল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়৷ এই ঘটনা দেশটির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার এক উদাহরণ৷