1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

করোনায় আক্রান্ত দশ কোটি ছাড়িয়ে গেল

২৭ জানুয়ারি ২০২১

এখনো পর্যন্ত গোটা বিশ্বে নথিভুক্ত কোভিড ১৯ রোগীর সংখ্যা ১০ কোটির মাত্রা ছাড়িয়ে গেল৷ বিশেষ করে গত তিন মাসে সংক্রমণের গতি দ্বিগুণ হয়ে গেছে৷ টিকা এলেও বণ্টনে জটিলতা দেখা দিচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/3oTKM
ছবি: Dylan Stewart/Image of Sport/Newscom/picture alliance

গত বছর থেকে কোভিড ১৯ প্রায় গোটা বিশ্বের স্বাভাবিক জনজীবন কমবেশি থামিয়ে দিয়েছে৷ বুধবার মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেল৷ অর্থাৎ সরকারি হিসেব অনুযায়ী বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক দশমিক তিন শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন৷ মৃতের সংখ্যা ২১ লাখেরও বেশি৷ এখনো পর্যন্ত গড়ে প্রতি সেকেন্ডে সাত দশমিক সাত শতাংশ মানুষ এই ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত হয়েছেন৷ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ব্রিটেন৷ নথিভুক্ত সংক্রমণের অর্ধেকেরও বেশি এই সব দেশে ঘটেছে৷ অর্থাৎ বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ২৮ শতাংশকে বাড়তি এই ধাক্কা সামলাতে হয়েছে৷ মোট আক্রান্তের মধ্যে প্রায় ২৫ শতাংশই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ৷ সে দেশে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৪২৫,০০০৷

করোনাভাইরাস সংক্রমণের গতিও দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ এই ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হবার পর প্রথম ১১ মাসে গোটা বিশ্বে পাঁচ কোটি সংক্রমণ নথিভুক্ত হয়েছিল৷ কিন্তু তারপর মাত্র তিন মাসের মধ্যে সংখ্যাটি দ্বিগুণ হয়ে গেল৷ ব্রিটেন ও দক্ষিণ আফ্রিকায় মিউটেশনের মাধ্যমে পরিবর্তিত করোনা ভাইরাসের আরও ছোঁয়াচে সংস্করণ এমন পরিস্থিতির জন্য অন্তত আংশিকভাবে হলেও দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে৷

এমন বিপর্যয় সামলাতে অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে একাধিক টিকা একে একে অনুমোদন পেলেও সেই টিকা উৎপাদন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নানা জটিলতা দেখা যাচ্ছে৷ প্রায় ৫৬টি দেশ এরই মধ্যে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে৷ একমাত্র ইসরায়েল দেশের জনসংখ্যার প্রায় ২৯ শতাংশকে কমপক্ষে টিকার প্রথম ডোজ দিয়ে তালিকার শীর্ষে রয়েছে৷

অঞ্চল হিসেবে ইউরোপ করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি নাজেহাল হয়ে পড়েছে৷ সেখানে প্রতি চার দিনে নতুন করে দশ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে৷ করোনা মহামারি শুরু হবার পর থেকে প্রায় তিন কোটি মানুষ সংক্রমণের শিকার হয়েছে৷ ধীর গতিতে সরবরাহের কারণে ইউরোপের মানুষকে টিকা দিতে বিলম্ব ঘটছে৷

আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ রেখে অথবা যাতায়াতের ক্ষেত্রে কড়া নিয়ন্ত্রণ চাপিয়ে অনেক দেশ পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করছে৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেই সব বিদেশি নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চলেছেন, যারা সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছেন৷ ব্রিটেনও কয়েকটি দেশ থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে৷ অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড মহামারির শুরু থেকেই ভ্রমণের ক্ষেত্রে এমন নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সুফল পেয়েছে৷

জার্মানিও সীমান্তে আরো নিয়ন্ত্রণ এবং বেসামরিক বিমান চলাচল প্রায় বন্ধ করে দেবার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার বর্তমান পরিস্থিতি সামলাতে আরও কড়া পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছেন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, এএফপি)

 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য